জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবেশ-স্বাস্থ্য বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ।
বর্তমান বিশ্বে ৪১ শতাংশ মানুষের পরিস্কার পানি ও মৌলিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার অভাব রয়েছে । প্রতি বছরে ১৫ লাখ শিশু যথেষ্ট নিরাপদ পানি ও ভাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে মারা যায় । যথাযথ ও কার্যকরভাবেবিশ্বব্যাপী এ সংকট মোকাবেলাএবং প্রতিটি মানুষের জন্য সুষ্ঠু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৮ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবেশ স্বাস্থ্য বর্ষ ঘোষণা করেছে । এর মাধ্যমে গোটাবিশ্বের জনস্বাস্থ্য উন্নয়ণ তরান্বিত হবে , উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানুষের জীবনযাপনের অবস্থা উন্নত হবে এবং শিশুদের মৃত্যু হার কমে যাবে বলে জাতিসংঘ আশা করে ।
২০০০ সালে জাতিসংঘ প্রণীত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যেআর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিক থেকে বিভিন্ন দেশের জন্য ধারাবাহিক মানদন্ড নির্ধারিত হয়েছে । এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল, নিরাপদ পানি ও উপযুক্তস্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হওয়া বিশ্ব জনসংখ্যা ২০১৫ সাল সেই নাগাদ অর্ধেকে কমিয়ে আনা । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একশ' ২০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থাঅনেক উন্নত হলেও জাতিসংঘ মনে করে যে , বর্তমান গতি অনুযায়ী ২০১৫ সালে বিশ্বে ২৪০ কোটি মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উপভোগ করতে পারবে না । সময়মতো সহস্রাব্দের লক্ষ্য বাস্তবায়নে এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে ।
1 2
|