তরুণ বয়সে দীর্ঘ দিন ধরে ডিনারে অতিরিক্ত খাবার খেলে শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে প্যাংক্রিয়াসের ওপর বাড়তি চাপ পড়তে থাকে । একটি পর্যায়ে গিয়ে প্যাংক্রিয়াস প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । তখনই দেখা দেয় ডায়াবেটিস । তাছাড়া, ডিনারে বেশি খাবার খেলে কিছু খাবার ভালভাবে হজম হয় না এবং বিষাক্ত উপাদানে পরিণত হয় । দীর্ঘকাল ধরে অন্ত্রে বিষাক্ত উপাদান জমতে জমতে একসময় অন্ত্র ক্যানসারে আক্রান্ত হয় ।
ডিনারে বেশি মিষ্টি খাবার খাবেন না
ডিনারে এবং ডিনারের পর মিষ্টি খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর । কারণ পাকস্থলীর হজমের ক্ষমতা দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম । আসলে শরীরে খাবার হজম হওয়া সুর্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত । মিষ্টির মধ্যে রয়েছে চিনির উপাদান যা রাসায়নিক রূপান্তরের মাধ্যমে শক্তি ও মেদে পরিণত হয় । মিষ্টি খাওয়ার পর খেলাধূলা করলে রক্তের মধ্যে চিনির উপাদান নিয়ন্ত্রিত হয় । কিন্তু রাতে তা খাওয়ার পর কম সময়ের মধ্যে ঘুমানোর কারণে চিনির উপাদান হজম হয় না , ফলে শরীর স্থুল হয়ে যায় ।
অনেক দেরী করে ডিনার খাওয়া উচিত্ নয় ।
অনেক লোক কাজে ব্যস্ততার কারণে গভীর রাতে ডিনার খান এবং খাওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে পড়েন । ঘুমের মধ্যে শরীরের রক্ত চলাচল ধীর গতির হয়ে যায় ।খাবারের মধ্য থেকে ক্যালসিয়াম লবণ গ্রহণ করার পর শরীর তার প্রয়োজনীয় মাত্রা কাজে লাগায় বাকিটা মুত্রের সঙ্গে চলে যায় । কিন্তু দেরিতে ডিনার খেলে প্রয়োজনীয় মূত্র নির্গত হওয়ার জন্য শরীর পর্যাপ্ত সময় পায় না । সংশ্লিষ্ট গবেষণা থেকে জানা গেছে, খাবার খাওয়ার পর ৪ বা ৫ ঘন্টা পর্যন্ত মুত্র ত্যাগের জন্য ভালো সময়। গভীর রাতে ডিনার করলে প্রস্রাব করার সময় দাঁড়াবে মধ্যরাত। তখন গভীর ঘুমে থাকার কারণে ভোরবেলায় গিয়ে সাধারণত মুত্র ত্যাগ করার অভ্যাস দাঁড়িয়ে যায় । ফলে প্রস্রাবের ভেতরের বিষাক্ত উপাদান শরীরে জমে থাকে এবং ধীরে ধীরে পাথরে পরিণত হয় । যা শরীরের জন্য বিপদজনক ও ক্ষতিকর ।
ডিনারে বেশি মাংস খাবেন না
গবেষণা থেকে জানা যায় , সবসময় ডিনারে যারা বেশি খাবার খায় তাদের শরীরে রাতে সবজি খাওয়া লোকদের চেয়ে কোলেস্টরেলের পরিমাণ ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি । বিশেষ করে বেশি কোলেস্টরেল ও ব্লাড প্রেসারের রোগীরা ডিনারে সবসময় মাংস খেয়ে শরীরের জন্য আরও বেশি ক্ষতি ডেকে আনে এবং সহজেই হৃদপিন্ডের রক্ত সঞ্চালন ও হৃদ রোগে আক্রান্তহওয়ার আশংকা থাকে। 1 2
|