পেইচিং রুই সিং বৈজ্ঞানিক লিমিটেড কোম্পানির গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রের উপ প্রধান মা চিয়ে এ বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার সময় বলেছেন, ইন্টারনেট ওয়েব-সাইটের সঙ্গে জড়িত কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেখানে রাখা দলিলপত্রের ভেতরেও ভারাইস ঢুকে পড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবার ঐসব দলিলপত্র ব্যবহার করে, তখন ভাইরাস ওয়েব-সাইটের ভেতরে ঢুকে যায়। এ ব্যাপরে রুই সিং কোম্পানি প্রচুর গবেষণা করেছে এবং এ বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে। মা চিয়ে বলেছেন:" আমাদের প্রস্তাব হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে প্রশাসনিক কাজ চালানো। চূড়ান্ত ভাইরাসে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা অনেক কমে গেছে।"
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে কম্পিউটার ভাইরাসের সংখ্যা ৮০ হাজারেরও বেশি। পেইচিং জ্ঞানার্জন নিরাপত্তা প্রকল্প সংক্রান্ত কেন্দ্রের প্রধান ওয়াং সিন চিয়ে মনে করেন যে, ইন্টারনেট তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের উচিত একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিরাপত্তা প্রশাসন স্থাপন করা। এ ব্যাপারে শুধু মাত্র একপক্ষীয় প্রতিরোধের উপায় ব্যবহার করলে , তা মৌলিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করবে না। ইন্টারনেটের নিরাপত্তা পদ্ধতি ভালভাবে উন্নয়নের লক্ষে চীন সরকার " রাষ্ট্রীয় তথ্যায়ন উন্নয়নশীল কৌশল ২০০৬----২০২০" -এর সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যাতে ইন্টারনেটের নিরাপত্তার বিষয়টি মোকাবিলার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা যায়।
সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জি ইয়ু ছুন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় তথ্যাদির নিরাপত্তা সুনিশ্চয়তা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ভাইরাস ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ওপর যথাযথভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া। তিনি বলেছেন:" যেমন, রাষ্ট্রীয় তথ্যাদি নিরাপত্তা সুনিশ্চয়তা করার কাজটি একটি অগ্নি নির্বাপক দলের মতো। তাদেরকে আগুণের সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর পরই সময়মতো ঘটনাস্থলে নিজে থেকেই চলে যেতে হবে ।"
বর্তমানে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫৩টি রাষ্ট্র পর্যায়ের হাইটেক উন্নয়ন অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই সব অঞ্চলের প্রধান লক্ষ্যমাত্রা বছরে ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে । এই সব অঞ্চল চীনের হাইটেক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা আর জাতীয় অর্থনীতির কাঠামো উন্নত করার এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে । 1 2
|