নতুন পর্যায়ের ফিউসন্ পারমাণবিক পরীক্ষা ক্ষেত্রে চীনে ইতোমধ্যে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। এর ভিত্তিতে ফিউসন্ রিঅ্যাক্টর বা চুল্লি স্থাপন করা হলে তার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বৈজ্ঞানিক ও পারমাণবিক সমস্যার সমাধান করা যাবে। এসব সমস্যার সমাধানে বিপুল বৈজ্ঞানিক শক্তির পাশাপাশি প্রচুর আর্থিক সামর্থ্যও দরকার। এককভাবে একটি দেশের পক্ষে তা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।অনেকগুলো দেশের সহযোগিতা ও আলোচনা মাধ্যমে একটি যৌথ প্ল্যাটফর্ম তৈরির সম্ভাবনা আশ্য দেখা দিয়েছে। গতবছর , চীন, ভারত, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ই ইউ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৫ সালে উপস্থাপিত " আন্তর্জাতিক তাপ পার মানবিক পরীক্ষামূলক চুল্লি" সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনের বৈজ্ঞানিক বিভাগের উপপ্রধান বাই ছুন লি বলেছেন:" এ ক্ষেত্রে অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রকল্পের চেয়ে ভিন্নভর আমাদের এ প্রকল্পটি প্রথমবারের মতো চালু হলো। এটি " আন্তর্জাতিক তাপ পারমাণবিক পরীক্ষঅমূলক চুল্লি " পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরী করেছে।"
জানা গেছে, চীনের এই প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এ পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ইন্টারনেটের বিশেষ ডাটা-বেসের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে । এ প্রকল্পটির সংশ্লিষ্ট প্রধান উ সুং থাও বলেছেন: " ৫০ বছর পর, এ প্রকল্পটি আমাদের সাধারণ পরিবারে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। এখন, সারা বিশ্বে জ্বালানীসম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা খুবই কম ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে সব পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র ফিউসন্ শক্তির মাধ্যমে কাজ করবে বলে অনুমাণ করা হচ্ছে।" 1 2
|