জানা গেছে, চীনের পুরাকীর্তি রক্ষা বিভাগের বিশেষজ্ঞরা জার্মানির বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কয়েক ডজন রক্ষার উপায় ব্যবহার করেন এবং অনেকটা অগ্রগতি হয়। চৌ থিয়েশেং বলেন: " কয়েক দশকের সহযোগিতার মধ্যে চীন ও জার্মানি পরস্পরের গবেষণা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। গবেষণার সময় চীন পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন । জার্মানির কর্মকর্তারা , বিজ্ঞান ও ব্যয় বিষয়ে চীনকে অনেক সাহায্য দিয়েছে। দু'পক্ষের মিলিত প্রচেষ্টায় অবশেষে রঙ লাগিয়ে টেরাকোটা রক্ষা করার প্রকল্পটি সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়।"
আরো জানা গেছে, চীনের পুরাকীর্তি ব্যুরোর বিশেষজ্ঞ গ্রুপ প্রমাণ করেছে যে , এই বৈজ্ঞানিক সাফল্য পুরাকীর্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে ছিন শিহুয়াং সমাধির সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোটা দেখতে অনেক প্রাণবন্ত লাগে। শরীরের রঙটাও এখন বেশ সুন্দর । সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, এই বৈজ্ঞানিক সাফল্য ২০০০ বছর আগে ছিন শিহুয়ং সমাধির সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোটা রক্ষার পাশাপাশি আরোঐতিহাসিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে । তবে ছিন শিহুয়ং সমাধির সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোটা জাদুঘরের উপপ্রধান লেই ইয়ুফিং বলেছেন:" ছিন শিহুয়ং সমাধির সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোটা রঙ লাগিয়ে রক্ষা করা আমাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য নয়, যা শুধু একটি উপায় মাত্র। উল্লেখ্য, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও এই অগ্রণী কাজ দেখার জন্যে দেশী-বিদেশী দর্শকরা ব্যাপকভাবে জাদুঘরে যাচ্ছেন এবং বিশ্বে চীন এ ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে।"
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ছিন শিহুয়ং সমাধির সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোটা জাদুঘর চালু হওয়ার পর, দেশী-বিদেশী মোট ৫.৫ কোটিরও বেশী দর্শক পরিদর্শন করেছেন । এর মধ্যে প্রায় ৫৫ লাখেরও বেশী ছিল বিদেশী দর্শক । তাছাড়া,আরো ১৪০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ অথবা সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। চীন সরকার ছিন শিহুয়ং সমাধির সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোট রক্ষার জন্যে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে , তাঁরা তার প্রশংসা করেছেন। ছিন শিহুয়ং সমাধির সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোটা হলো মানব জাতির মহান বিস্ময়। পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও ছিন শিহুয়াং সমাধিস্থল আরও সুন্দরভাবে রক্ষা করার জন্যে সম্প্রতি চীন সরকার ছিন শিহুয়াং এর প্রধান সমাধি খনন করার পরিকল্পনা নিয়েছে । 1 2
|