চীনে এখন ব্যক্তিগত মোটর গাড়ির সংখ্যা বেড়েই চলেছে । পেইচিংয়ে ব্যক্তিগত মোটর গাড়ির সংখ্যা প্রতিদিন ১ হাজার করে বাড়ছে । এ পর্যন্ত পেইচিংয়ে মোটর গাড়ির সংখ্যা ৩১ লাখ । দু বছর আগে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫ লাখ । পেইচিং পৌর সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্যে যথাসাধ্য বেশি বরাদ্দ করলেও মোটর গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির গতি এর চেয়ে অনেক বেশি । এ শতাব্দির গোড়ার দিকে পেইচিংয়ের মত চীনের অন্য বড় বড় শহরেও একই অবস্থা দেখা দিয়েছে । এ অবস্থার ফলে অনেক শহরে সবসময় যানজট লেগে থাকে ।
২০০৪ সালে হু মিন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী পান । তিনি একটি মোটর গাড়ি কেনেন । তবে তার স্বামী এ গাড়িতে করে অফিসে যান । তিনি ট্যাক্সি করে অফিসে যান । যানজটের কারণে ট্যাক্সি করে অফিসে যাওয়াও তার পক্ষে অসুবিধাজনক হয়ে উঠে । তিনি বলেন , অফিসে যাওয়ার পথে যানজটে আমি অসহ্য হয়ে উঠি । আমার বাড়ি থেকে অফিসের দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার । অথচ ট্যাক্সি করে অফিসে গেলে আমার ১ ঘন্টা লাগতো ।
এমন অবস্থার প্রেক্ষাপটে চীন সরকার ও সমাজের বিভিন্ন মহল নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে । ব্যক্তিগত মোটর গাড়ির সংখ্যা সীমিত রাখা , উপগ্রহ-নগর স্থাপন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মত ধারাবাহিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । চীনা সাইকেল সমিতির মহাসচিব কোও হাই ইয়ান বলেছেন , সরকারের উচিত জনসাধারণকে সাইকেল ব্যবহার করে চলাফেরা করতে উত্সাহিত করা । তিনি বলেন , আমরা আহবান জানাচ্ছি , সবাই মাঝারী ও স্বল্প দূরত্বের পথে গেলে যেন যতদূর সম্ভব সাইকেল ব্যবহার করেন । এতে যেমন জ্বালানী সাশ্রয় হবে , তেমনি বাতাসের দূষণ কমে আসবে ।
বস্তুত যানজট থাকলে সাইকেলের সুবিধা আসে । যেমন পেইচিংয়ের ব্যস্ততম এলাকায় যাতায়াতের ব্যস্ত সময় মোটর গাড়ি চলার গতি ঘন্টায় ৮ , বড়জোর ১২ কিলোমিটার । তবে একই সময় সাইকেল গতি ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার ।
এখন হু মিন আবার সাইকেল চালাতে শুরু করেছেন । তিনি একটি ভাঁজ করা সাইকেল কিনেন । আকারে ছোট বলে ব্যবহার না করার সময় সাইকেলটিকে মোটর গাড়ির পেছনের বাক্সে রাখা যায় । এমন কি পাতাল রেলেও এটিকে সংগে করে নেয়া যায় । সাইকেলের সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন , সাইকেল চালালে আপনার আর যানজটের কথা ভাবতে হবে না । ট্যাক্সির জন্যেও আমার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না । তাছাড়া নিজের সাইকেল চালানো শরীরের জন্যেও দারুণ উপকারী । 1 2
|