নিনসিয়া অঞ্চলের লোকক্রীড়া পদ্ধতি ' হো চিয়া কুন'কেও নিনসিয়ার প্রথম অবস্তুগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । ' হো চিয়া কুন ' এক ধরনের শরীর চর্চার মুষ্টি যুদ্ধ । এ পদ্ধতির ১৮০ বছরের ইতিহাস রয়েছে । এ বক্সিং উ সু ও ক্রীড়ার সমন্বয়ে করা হয়েছে । এ উসু বক্সিং শরীরের জন্য খুব ভাল । কিন্তু এ ধরনের ঐতিহ্যিক ক্রীড়া পদ্ধতিও বিলুপ্ত অবস্থার দিকে রয়েছে । ' হো চিয়া কুন' শরীর চর্চা বক্সিংয়ের পঞ্চম বংশের উত্তরাধিকারী হো চিয়েন কোন বলেন , আমরা যদি সরকারের সমর্থনে এ ঐতিহ্যিক শরীর চর্চা পদ্ধতি প্রচারের প্রচেষ্টা না করি , তাহলে আমরা শুধু পূর্বপুরুষদের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল হবো তাই নয় , বরং আমাদের ছেলেমেয়েদের কাছেও দায়ী হবো । তাই আমি ঐতিহ্যিক ' হো চিয়া কুনকে জনপ্রিয় করতে চাই । প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এ ঐতিহ্যিক শরীর চর্চা পদ্ধতি জনপ্রিয় করার ব্যবস্থা নিতে পারলে আমি খুব খুশি হব ।
মূল্যবান অবস্তুগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ রক্ষার জন্য গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে নিনসিয়া অঞ্চল লোকশিল্প সংরক্ষণের আইনবিনি প্রণয়ন করেছে । ২০০৫ সালে নিন সিয়া অঞ্চলে অবস্তুগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ সংরক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় । ২০০৬ সাল থেকে অবস্তুগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ সংরক্ষণ বিধির কার্যকর শুরু হয় । নিনসিয়া অবস্তুগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান চিন চুন ওয়ে বলেন , সাংস্কৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আমরা তিন ক্ষেত্রে কাজ করব । একটি হল ঐতিহ্যিক সাংস্কৃতিক সম্পদ রক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সম্পদের উত্তরাধিকারীদের আর্থিক সাহায্য দেয়া । দ্বিতীয় হল অবস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ রক্ষার কাজ প্রচার করা । আমরা স্কুলগুলোর অনুরাগী ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেব এবং শিল্পীকলা স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের হাতেকলমে শিখানোর ব্যবস্থা নেব । তৃতীয় হল এ অঞ্চলের সব সাংস্কৃতিক ভবনকে এ কাজের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া এবং এ কাজে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা ।
জানা গেছে , ২০০৮ সালের আগে নিনসিয়া অঞ্চল নিজ অঞ্চলের অবস্তগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ জরীপের কাজ সম্পন্ন করবে এবং ২০২০ সালের আগে নিনসিয়া অঞ্চলের সব মূল্যবান অবস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেবে । 1 2
|