বর্তমান বিশ্বের মোট ১৯০টিরও বেশি দেশ " তামাক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রস্তাবের " সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। প্রতিদিনই তামাক নিষিদ্ধ আইন বিভিন্ন দেশে তৈরী হচ্ছে । তামাক নিষিদ্ধ সহায়ক সার্বিক পরিবারের সুষ্ঠু পরিবেশ এখন গড়ে তোল । সমাজের সার্বিক পরিবেশ ছাড়াও নিজের পরিবার ও এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুর কাছে এখন সিগারেট সেবন ত্যাগ করার খবর জানাতে হবে এবং আশা করে সে তাদের সমর্থন পাবে। এর সঙ্গে সঙ্গে সকল সিগারেট সেবন পরিহারকারী এক সঙ্গে পারস্পরিকভাবে নিজেদের অবস্থান রক্ষায় মত বিনিময় করতে পারে। এইভাবে সিগারেট সেবন ত্যাগ করা বেশি সহজ হবে। আতিরিক্ত ধূমপানকারীকে সিগারেট সেবন ত্যাগ করার সময় অবশ্যই ওষুধ খাওয়া উচিত। এসব ওষুধ ধূমপায়ীর সিগারেট সেবন ত্যাগ করার পর ধারাবাহিক মাথা ব্যথা সহ অন্যান্য রোগের জন্যেও সহায়ক হবে।
বর্তমানে সিগারেট সেবন ত্যাগ করার ওষুধ অনেক রকমের আছে। সচরাচর দেখা যায় যে ক্রমাগত চিবোতে হয় এমন লজেনচুষ। তার উপকারীতা হচ্ছে ধূমপায়ী সিগারেট সেবন ত্যাগ করার পর ধূমপায়ীকে তামাকের ওপর নির্ভরশীলতা দ্রুতভাবে কমানোর সুবিধা পাওয়া । উল্লেখ্য, যদি আপনি সিগারেট সেবন ত্যাগ করতে চান, তাহলে ছ'য় মাস পর্যন্ত আপনাকে এইসব পদ্ধতিবজায় রাখতে হবে। আপনার সিগারেট সেবন ত্যাগ করার মনোবলও অক্ষুন্ন রাখতে হবে।
লু সিউসিয়া একজন শিক্ষক । তিনি প্রায় ৩০ বছরেরও বেশী ধূমপান করেছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি সিগারেট সেবন ত্যাগ করেছেন। কিন্তু একবছর পর, তিনি আবার ধূমপান করছেন। এখন প্রতিদিন কমপক্ষে ৪টি সিগারেট ধূমপান করেন। তিনি বলেছেন: " আমার বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাস করেন ' আমি কেন আবার ধূমপান করি?' আমি উত্তর ' আমার জীবনে কোনো অন্য খারাপ শখ নেই, তাই শুধু এই ধূমপান করি'।" আসলে আবার ধূমপাত করার ক্ষেত্রে ভয় লাগবে না। খুব কম লোকই সিগারেট সেবন ত্যাগ করার লক্ষে একবার বা একবারেরও বেশী ব্যর্থ হবার পর, স্থায়ীভাবে সিগারেট সেবন ত্যাগ করার মনোবল বজায় রাখতে পারে। জানা গেছে, গড়পড়তা একজন সাতবার সিগারেট সেবন ত্যাগ করার পর সফল হতে পারে।
1 2
|