v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-08 18:15:18    
তাচাও মন্দির

cri

    আমরা ১৩০০ বছরের আগে চীনের থাং রাজবংশের রাজকুমারী ওয়েনছেং-এর তিব্বতে আসার কথা থেকেই শুরু করি । জানা গেছে ,৭তম শতাব্দীতে থাং রাজবংশের রাজকুমারী ওয়েনছেং তিব্বতের রাজা সোংস্টেন গাম্বোকে বিয়ে করেন । তখন লাসা ছিল একটি জনবসতিহীন জায়গা । রাজকুমারী ওয়েনছেং বলেন, আকাশ থেকে দেখে মনে হতো লাসার আকার যেন শুয়ে থাকা এক মায়াবিনীর মতো । এ মায়াবিনীর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রতঙ্গে মন্দির নির্মাণ করলেই কেবল লাসার শান্তি ও সুখী জীবন বজায় থাকবে । তাচাও মন্দির মায়াবিনীর ঠিক হৃদয়ের কেন্দ্রে অবস্থিত । তাই লোকজন ছাগল দিয়ে মাটি বহন করে নিয়ে তাচাও মন্দির নির্মাণ করে । রাজকুমারী ওয়েনছেং থাং রাজবংশের রাজভবন থেকে নিয়ে আসা শাক্যমুনির ১২ বছর বয়সের সোনালী মুর্তিটি তাচাও মন্দিরে স্থাপন করেন । এরপর তাচাও মন্দির অনেক বিখ্যাত হয়ে উঠে তিব্বতের ধর্মাবলম্বীদের মনের পবিত্র স্থানে পরিণত হয়েছে ।

     লাসার রাস্তায় হাঁটার সময় হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে তাচাও মন্দিরে আসা ধর্মাবলম্বীদের উপাসনা করতে দেখা যায় । তারা বহু দূর থেকে বহু কষ্টে প্রতি তিন পদক্ষেপ পর একবার উপাসনা করে আধা বছর বা এক বছর পার করে তাচাও মন্দিরে পৌঁছে । পৌঁছার সময় তাদের মাথা, হাত এবং হাঁটুতে অনেক ধূলোবালিলেগে থাকে এবং অনেকের চামড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে । যদিও দেখতে একটু ময়লা ,তবুও তাদের মুখের আন্তরিকতা ও সন্তোষজনক অবস্থা দেখে আমরা উপলব্ধি করতে পারি তারা কতটা ত্যাগী মানুষ । আমি মনে করি, তা হচ্ছে তিব্বতের বিশেষ অলংকার ।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিব্বতের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে । পর্যটকরা লাসায় আসলে অবশ্যই তাচাও মন্দির পরিদর্শন করেন । পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তাচাও মন্দিরের ওপর অনেক চাপ পড়েছে । পবিত্র মন্দিরটি ভালভাবে সংরক্ষণ এবং আরো বেশি পর্যটকদের তার সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়ার জন্য মন্দিরের প্রশাসনিক কমিটির কর্মীরা নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে । কমিটির একজন কর্মী আমাদের সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় বলেন, মন্দির সংরক্ষণ এবং ধর্মাবলম্বী ও পর্যটকদের পরিদর্শনের চাহিদা মেটানোর জন্য চলতি বছরের পয়লা জুলাই থেকে আমরা পর্যটকদের জন্য পর্যটন গাইডপত্র তৈরী করেছি এবং পরিদর্শনের সময় সকাল ও বিকাল দু'পর্যায়ে বিভক্ত করেছি । সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রধানত তিব্বতী ধর্মাবলম্বীদের পরিদর্শনের জন্য এবং বিকেলে পর্যটকদের পরিদর্শনের জন্য ।

    মন্দিরে অনেক বিদেশী পর্যটকের সঙ্গে আমাদের দেখা হয় । তারা তাচাও মন্দির ও তিব্বতের পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন । বৃটেনের পর্যটক ফরেসি বলেন,  আমি পেইচিং থেকে তিব্বত এসেছি । পেইচিং এবং শাংহাইয়ের আকাশের চেয়ে তিব্বতের আকাশ আরো নীল এবং পরিবেশও খুব ভালো । যখন আমার হাতে আবর্জনা থাকে, তখন আমি সেসব আবর্জনা রাখার নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে দেই এবং তিব্বতের পরিবেশ সুরক্ষা করি ।


1 2