v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-07 16:27:29    
শরত্কালে শরীর ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার কয়েকটি খাবারের কথা

cri
    চীনে এখন শরত্কাল, আবহাওয়া গ্রীষ্মকালের চেয়ে একটু ঠাণ্ডা এবং কিছুটা শুষ্ক । এ সময়ে জলীয় বষ্পের পরিমাণ কম থাকায় আমাদের ত্বক বিশেষ করে নারীদের ত্বকে খুব দ্রুত শুষ্কভাবফুটে ওঠে । ত্বক খসখসে হয়ে যায় । তাহলে শরত্কালে কী ভাবে আমাদের ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখবো ? আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে ত্বক নরম, মসৃণ ও সুন্দর রাখতে পারে এমন কয়েক ধরনের খাবারের কথা বলবো । চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের অনুষ্ঠানটি ।

    আখরোট এবং তিল

    আখরোটের আরেক নাম দীর্ঘায়ু ফল । কারণ এ ফল মানুষের আয়ু বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে থাকে । ফলটি মস্তিষ্ক ও ত্বকের পরিচর্যায় অনেক সহায়ক ভুমিকা পালন করে । কারণ , এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই , এসব উপাদান ত্বকের ওপর রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ত্বককে নরম , মসৃণ ও সুন্দর করে তুলতে পারে । জাপানী বিশেষজ্ঞদের মতে এ ফলটি ত্বকের কোমলতা রক্ষার পাশাপাশি ত্বকে ভাজ না পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর ।

    তিল । তিলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই । এ উপাদান দু'টি মস্কিষ্ককে সবসময় সতেজ রাখে ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে । এ ছাড়াও তিল চামড়ার পেলবতা বজায় রাখে এবং চামড়ার স্থায়ীত্বকে দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য অনেক সহায়ক । যদি তিল ও আখরোট একসঙ্গে মিশিয়ে খান, তাহলে মস্তিষ্ক ও ত্বকের জন্য তা আরো কার্যকর ভুমিকা পালন করবে । যারা মস্তিষ্কের অর্থাত্ চিন্তা-ভাবনা বা গবেষণার কাজ করেন এ খাবার তাদের জন্য খুব ভালো । এ ছাড়াও যাদের ঠিকমত ঘুম হয় না এবং চামড়া খুব সহজেই শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যায় এমন লোকদের জন্য খুবই উপকারী । কারণ , দেহের ওপর তৈলাক্ত ভাব সৃষ্টিতে এ দু'টি উপকরণের জুড়ি নেই ।

    পায়রা,খাঁসির মাংস ও সামুদ্রিক সবজি

    আজকাল অনেক নারীই স্লিম হওয়ার জন্য প্রয়োজনের চেয়েও খাবার খুব কম খায় । তারা মনে করে এতে শরীর হালকা হবে । এর ফলে দীর্ঘকাল ধরে পুষ্টিকর উপাদানের অভাবে , তারা নিম্ন রক্ত চাপ এবং ঋতু চক্রের অনিয়ম ও বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে । বিশেষ করে শরত্কালে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হতে থাকলে তার প্রভাব তাদের ওপর পড়ে । তখন শরীরের কর্মক্ষম ক্ষমতা কমে যায় এবং ঠাণ্ডা প্রতিরোধও করতে পারে না । তারা সহজভাবেই ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয় এবং রক্তনালীর রাসায়নিক রূপান্তরেরও ব্যাঘাত ঘটে । এ কারণে এসব নারীদের শরত্কালে নানা ধরনের পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত । তাহলে তাদের ভগ্ন স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্ভব ।


1 2