১৯৫৪ সালে সাংহাই নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন তার নাম ছিল সাংহাই শিক্ষক প্রশিক্ষণ পেশাদার বিদ্যালয়। ১৯৫৬ সালে এই বিদ্যালয় বিভক্ত হয়ে সাংহাইএর প্রথম ও দ্বিতীয় নর্মাল কলেজে পরিণত হয়। ১৯৫৮ সালে এ দু'টো কলেজ সংযুক্ত হয়ে সাংহাই নর্মাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তিত হয়ে সাংহাই নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়হয়। বতর্মানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দু'টো শাখা ইনস্টিটিউট ও ৮৫টি গবেষণা সংস্থা আছে। সাংহাই নর্মাল
 বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট লু জিয়েন ফি বললেন,
" সাংহাই নর্মাল বিশ্ববিদ্যায় সাংহাইএর একটি নাম-করা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যান্য বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ বজায় রাখে। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয়েরআকার সম্প্রসারিত হয়েছে। মূল ক্যাম্পাস ছাড়া আরও দু'টো নতুন ক্যাম্পাস আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৭৮টি বিষয় । এর মধ্যে দর্শন, অথর্নীতি, আইন, শিক্ষা, ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ইনজেনিয়ারিং , ব্যবস্থাপনা সহ মোট দশটি বিভাগ । গত ৫০ বছরেরও বেশী সময় ধরে , এই বিশ্ববিদ্যালয় ১ লাখ ২০ হাজার নানা ধরনের দক্ষ ব্যক্তিকে তৈরী করেছে। সারা সাংহাইএর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের মধ্যে ৭০ শতাংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। "

গত কয়েক দশক ধরে সাংহাই নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে নর্মাল স্কুল থেকে নর্মাল কলেজ , তার পর নর্মাল কলেজ থেকে নর্মাল ইনস্টিটিউট পরিবর্তিত হয়, সবশেষে নর্মাল ইনস্টিটিউট থেকে আজকার নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয় । চীনের শিক্ষা ক্ষেত্রে গভীরে বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি, সাংহাই নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ও নিজের নতুন লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করেছে। এ প্রসংগে ভাইস প্রেসিডেন্ট লু বললেন,

" আমার মনে হয়, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিকীকরণ একাবিংশ শতাব্দীতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের কয়েকটি প্রধান প্রবণতার অন্যতম। বিশ্ব ছাড়া, চীনের উন্নতি প্রায় অসম্ভব, আবার বিশ্ব ছাড়া চীনের উচ্চ শিক্ষা উন্নতিও বলতে গেলে অসম্ভব । যদি শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে চাই তাহলে আমাদেরকে বিশ্বের উন্নয়নকেঅনুসরণ করতে হবে। রাজনীতি ও অথর্নীতিতে বড় দেশে পরিণত হওয়ার পর নিঃসন্দেহে শিক্ষা ও সংস্কৃতিক্ষেত্রে বড় দেশে পরিণত হতে পারবে। সুতরাং আমাদের মুখে কেবল অভ্যন্তরীণচ্যালেঞ্জার নয় বিশ্বজুড়েও। এতে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এখন অপরিহার্য। আমার ধারণা হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে ঘেড়া থাক বা না থাক সেটা বিষয় নয় , তার আসল কথা হল উন্মুক্ত হওয়া উচিত, তার দশর্ন আন্তর্জাতিক হওয়া উচিত এবং ধারণা বৈচিত্রময় হওয়া উচিত। এই বৈচিত্র মানে প্রাচ্য ও পাষ্চাত্য সংস্কৃতির মিলন। "

1 2
|