বিকেলে আমরা তাচাও মন্দিরে যাই । পোতালা প্রাসাদের মতো তাচাও মন্দিরেও অনেক পর্যটক রয়েছে । তিব্বত আসার পর তাচাও মন্দির হচ্ছে পর্যটকসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি । মন্দিরের প্রশাসনিক কমিটির মন্দিরের পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে সাক্ষাত্কার নেয়ার পর আমাদের মন্দির পরিদর্শন শেষ হয় । পুনরায় বার্খোর রাস্তায় এসে সবাই বেড়াতে যাই । আমরা প্রথমে বার্খোর রাস্তার সবচেয়ে বিখ্যাত চা দোকান মাচিয়ামিতে যাই । মাচিয়ামি একটি তিন তলার ছোট ভবন । বিকেলে ৪টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা বিশ্রাম নেয়ার জন্য মাচিয়ামিতে চা খায় । দোকানে তিব্বতীয় আধুনিক গান ও ইংরেজী গান বাজানো হয়, সুর্যালোক জানালার বাইরে থেকে দোকানে প্রবেশ করে, দোকানের টেবিল , চেয়ার ও স্তম্ভ সবই কাঠ দিয়ে তৈরী । স্থাপত্য ধারণা এবং আসবাবপত্র সবকিছুতেই তিব্বতের বৈশিষ্ট্য রয়েছে । আমাদের তিব্বতীয় জাতির বন্ধু লুওসোং বলেন, তিব্বতীয় জাতির লোকজন প্রতিদিন বিকেলে মিষ্টি মাখন চা খেতে পছন্দ করেন । অবসর সময় কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে জানালার বাইরের সুন্দর মালভূমির দৃশ্য দেখে মিষ্টি মাখন চা খাওয়া ,অনেক আরামদায়ক ।

চা খাওয়ার পর বার্খোর রাস্তার বিভিন্ন দোকানে গিয়ে কয়েকটি মালা ও চুড়ি কিনেছি । রাতে আমরা একটি উত্তর কোরিয় বৈশিষ্ট্য রেস্টুরেন্টে ডিনার খাই । আমাদের দলের একজন সদস্য কোরিয় জাতির লোক । তিব্বত আসার পর সে সবসময় কোরিয় খাবার খেতে চায় , এবার তার ইচ্ছা বাস্তবায়ন হয় । ডিনার শেষে আমরা লুওসোংয়ের সঙ্গে তিব্বতের বিখ্যাত নাচ গান অভিনয় মঞ্চে গিয়ে তিব্বতীয় জাতির অনুষ্ঠান দেখা । তিব্বত আসার পর এটা আমাদের প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিব্বতের নাচ গান দেখি । অনেক সুন্দর । গান ও নাচের মাধ্যমে তিব্বতীয় জাতির লোকজনের আন্তরিকতা উপভোগ করতে পারি । আজকের কথা এখানে শেষ হলো । 1 2
|