চলতি বছর মে মাসে সার্বিয়ার নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার পর, সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে সার্বিয়ার সবচে' গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ হচ্ছে ইউরোপীয় একীকরণ প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য হেগের আদালতের সঙ্গে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টও বলেছেন, এ ব্যাপারে সার্বিয়া অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক। সার্বিয়া ই ইউ'র মানদন্ড অনুসারে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সংস্কার করতে থাকবে। যাতে যথাযথভাবে ই ইউ'র একটি সদস্য দেশ পরিণত করতে সম্ভব হয়। উল্লেখ্য, সার্বিয়ার নতুন সরকার হেগের আদালতের সঙ্গে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ জন্য এ ব্যাপারে ই ইউ " স্থিতিশীল ও সহযোগিতামূলক চুক্তির" আলোচনা আবার শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, দু'পক্ষের এ আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণভাবে দু'টি অংশ হয়ে থাকে। তা হলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশ । ১৩ জুন অনুষ্ঠিত আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক বিষয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণভাবে " স্থিতিশীল ও সহযোগিতামূলক চুক্তির" প্রস্তাবনা এবং দু'পক্ষের রাজনৈতিক সংলাপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে। সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক অংশের আলোচনা ১২ জুলাই মাস থেকে অনুষ্ঠিত হয়। দু'পক্ষ গুরুত্বপূর্ণভাবে শুল্ক কমানো, অবরাধ বাণিজ্য এবং পুঁজি বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। এ ব্যাপারে সার্বিয়ার প্রতিনিধি দলের প্রধান কর্মকর্তা জেলিক এ আলোচনায় এ বছরের শরত্কালে শেষ করার আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ বছর শেষ দিকে সংশ্লিষ্ট খসড়া প্রস্তাব স্বাক্ষর করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ই ইউ'র পূর্বমুখী সম্প্রসারণ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান কর্মকর্তা রিহন বলেছেন, " স্থিতিশীল ও সহযোগিতামূলক চুক্তি" সার্বিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে একটি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এর ফলে এ ব্যাপারে সার্বিয়ার জনগণ বেশি উপকৃত হবে । 1 2
|