শুনেছি নানা ধরনের মাশরুম ও ছত্রাক এবং তিব্বতীয় মুরগীর সঙ্গে বিশেষ পাথর পাত্রে কয়েক ঘন্টা সিদ্ধ করার পর , শরীরের জন্য অনেক সহায়ক । এ পাথর পাত্রের কাঁচামাল হচ্ছে এক ধরনের ভারী পাথর । এ পাথরের শুধু লিনজি জেলার একটি উপজেলায় পাওয়া যায় । এ উপজেলার পরিবহন ব্যবস্থা ভালো নয় । লোকজন হেঁটে হেঁটে কাধে করে এ পাথর বাইরে নিয়ে আসে এবং এ পাথরের বিশেষ খনিজ সম্পদ সাধারণ পানির সঙ্গে সিদ্ধ করার পর খনিজ পানি তৈরী করতে পারে । পাথর পাত্র সবই হাত দিয়ে তৈরী করা হয় । লাঞ্চ শেষে আমরা চীনের কম লোক সংখ্যার সংখ্যালঘু জাতি লুওবা জাতির মিলিন উপজেলায় গিয়ে লুওবা জাতির জীবনযাপন ও তাদের সাক্ষাত্কার নেই । মিলিন উপজেলায় লুওবা জাতির গ্রাম ৩টি , লোকসংখ্যা ৫২০জনেরও মত । চীনে এ জাতির লোক সংখ্যা মাত্র ৫০০০এর একটু বেশি । লুওবা জাতির নিজের ভাষা আছে কিন্তু অক্ষর নেই । তারা তিব্বতীয় ভাষা বলতে ও বুঝতে পারে ।
আমরা ছাইচাও নামক একটি গ্রামে যাই । গত বছর চীন সরকার এবং জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংস্থার সাহায্যে লুওবা জাতির জন্য এ গ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে । লুওবা জাতির লোকদের গ্রামের বাসভবন নির্মাণের জন্য কোনো টাকা পয়সা দেয়ার দরকার নেই । তারা পাহাড়ের পুরনো বাসা থেকে নতুন বাসায় চলে এসেছে, সবাই খুবই খুশি । আমরা গ্রামের একটি পরিবার প্রবেশ করে সাক্ষাত্কার নেই । গ্রামের সবচেয়ে বেশি বয়সী লুওবা জাতির একজন দাদী সাক্ষাত্কারের শেষে আমাদের জন্য লুওবা জাতির গান গেয়ে শোনান ,খুবই সুন্দর । মিলিন উপজেলার কাছে একটি নতুন পর্যটন স্থান উন্নত হচ্ছে , আগামী বছর আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটকদের জন্য তা খোলা হবে । শুনেছি তিব্বতীয় জাতির বিখ্যাত ডাক্তার এ পাহাড়ে তিব্বতীয় জাতির ঔষধের ওপর গবেষণা করেন । এ পাহাড়ের ঝর্নার পানি খেলে নানা ধরনের রোগ ভালো হয়ে যায় । আজ তিব্বত আসার ১২তম দিন, আমার স্বাস্থ্য একটু অসুস্থ লাগে, আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভালো হয়ে যাবো । আজকের কথা তাহলে এখানে শেষ করি ।
1 2
|