২৪ আগস্ট আরেকটি ব্যস্ততম দিন । আজ ভোরবেলায় নাস্তা খাওয়ার পর আমরা সরাসরিভাবে গাড়িতে উঠে লুলাং বন যাই । লুলাং বনের গাছগুলো সবই প্রাচীনকালের গাছ । সবচেয়ে পুরনো গাছের ইতিহাস ২৫০০ বছরেরও বেশি ।লুলাং বোন যাওয়ার পথে আমরা প্রথমে লিনজির বিখ্যাত নানচিয়াপাওয়া পাহাড় দেখি । এ পাহাড়ের উচ্চতা ৭৭৮২ মিটার । পাহাড়ের নামের তিব্বতীয় ভাষার অর্থ হচ্ছে আকাশে প্রবেশ করা বর্শা। এ পাহাড় হচ্ছে বিশ্বের ১৫তম উচুঁ পাহাড় । সাধারণত ভোরবেলায় এ পাহাড়কে দেখা সৌভাগ্যজনক । এবার আমাদের সৌভাগ্য হলো । গাড়ি পাহাড় রাস্তা অতিক্রম করার পর আমাদের ড্রাইভার ভাই বাসাং বলেন, দেখেন দেখেন, নানচিয়াপাওয়া পাহাড় ! আমরা তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলি । কিন্তু আমাদের ক্যামারার মানদন্ড গুণগতমানের না হওয়ার কারণে স্পষ্টভাবে তাঁর বিশাল আকার তুলতে পারি নি । কিন্তু আমরা নিজেদের চোখে তার সুন্দর দৃশ্য দেখি । মন অনেক খুশী । ছবি তোলার পর আমরা ধীরে ধীরে লুলাং বোনের কাছে যাই ।
লুলাং বোন পার্কে প্রবেশ করার পর বনের সুন্দর দৃশ্য দেখে আমরা আশ্চর্য্য হয়ে যাই । বনের নীচ দিয়ে সুন্দর নদী চলে গেছে একে বেকে । ইয়াক গরু এবং ঘোড়াগুলো আস্তে আস্তে তৃণভুমিতে বেড়াচ্ছে । তিব্বতীয় তাঁবুও পার্কের পাশে নির্মিত । পার্কে নামুছুও হ্রদের মতো স্থানীয় পশুপালক নিয়ে গঠিত ঘোড়ার দল রয়েছে । পর্যটকরা ঘোড়ায় চড়ে গোটা পার্ক প্রদর্শন করতে পারে । আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ে পশুপালকের নির্দেশে পার্ক প্রদর্শন করি । এবার হচ্ছে আমার প্রথমবার ঘোড়া চড়া । আমার ঘোড়া খুবই উদার, আস্তে আস্তে তৃণভুমিতে হেঁটে বেড়ায় । কয়েক মিনিটের মধ্যে আমরা ঘোড়ার গতি সমন্বয় করার পর একে অপরের ছবি তুলি । লুলাং বোনের কাছে একটি বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে পাথর পাত্রে তৈরী তিব্বতীয় মাশরুম ও মুরগীর মাংস । লাঞ্চের সময় আমরা এ সুস্বাদু খাবার খাই ।
1 2
|