ইন্ঞ্জিন পুনর্নিমান সম্পর্কে ফুছিয়াং কোম্পানির ম্যানেজার ছাই তং বলেন, 'বর্তমানে চীনে সারা দেশে জুড়ে ভারী যানবাহনের ৬শোরও বেশি সেবা স্টেশন ও ৬শোরও বেশি শাখা স্থাপনা রয়েছে। আমরা এ গুলোর মাধ্যমে পুরনো ইন্ঞ্জিন কিনি। যদি আপনার গাড়ীর ইন্ঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আপনি আমাদের সেবা স্টেশনে গিয়ে নতুন ইন্ঞ্জিন বদলে নিতে পারবেন। এসব ইন্ঞ্জিনের গ্যারিটি নতুন ইন্ঞ্জিনের মতোই। এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোম্পানিটির উত্পাদনের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে।'
কয়েক বছরের উন্নয়নের মাধ্যমে ফুছিয়াং চালিকা শক্তি কোম্পানি বর্তমানে ৭ হাজারেরও বেশি ইন্ঞ্জিন সংস্কার করে থাকে। এই ইন্ঞ্জিন সংস্কার শিল্প অর্থনৈতিক স্বার্থের পাশাপাশি বিরাট পরিবেশ সুরক্ষার কাজও করছে। কোম্পানি কয়েক বছরে চীনের প্রায় ৫৯ লাখ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুত্ সাশ্রয় করেছে ও কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমিয়েছে। ম্যানেজার ছাইতং বলেন, ২০১০ সালে ফুছিয়াং চালিকা শক্তি কোম্পানি প্রতি বছরে সংস্কার করা ইন্ঞ্জিন উত্পাদনের পরিমাণ ৫০ হাজার হবে। যা প্রতি বছর ৫ কোটি কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুত্ সাশ্রয় করা হবে।
এছাড়াও, শানতং প্রদেশের সরকার বহুবিধ ব্যবস্থার মাধ্যমে আবর্তনশীল অর্থনীতি উন্নয়নে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শানতং প্রদেশের সরকার জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় ও গ্যাস নিঃসরন কামানোর জন্য বিশেষ পুঁজি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে এবং পুরস্কার ও ভর্তুকির মাধ্যমে শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি উন্নয়নে উত্সাহ দিয়ে আসছে। শানতুং প্রদেশের বৈদেশিক আর্থ-বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উপপরিচালক কুও শুইউ বলেছেন, ভবিষ্যতে শানতং প্রদেশ আরও এক ধাপ জ্বালানী সম্পদের বহুমূখী ব্যবহার ত্বরান্বিত করবে। তিনি আরো বলেন, 'শানতং প্রদেশ ব্যাপকভাবে জ্বালানী সম্পদের বহুমূখী ব্যবহার ও পুনর্ব্যবহার ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে। শানতং প্রদেশ ইতিবাচকভাবে জ্বালানী সম্পদ বহুমুখী ব্যবহারের আধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্প ত্বরান্বিত করবে।
বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী সম্পদ সাশ্রয় ও নিঃসরন কমানোর জন্য শানতং প্রদেশ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। জ্বালানী সম্পদ সাশ্রয় ও নিঃসরন কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়নের দায়িত্ব পৃথক পৃথকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বিন্যাস করে দেওয়া হয়েছে।
আবর্তনশীল অর্থনীতি উন্নয়নের পাশাপাশি, শানতং প্রদেশ ব্যাপকভাবে বাতাস, সৌর শক্তি ও পুনঃব্যবহারযোগ্য জ্বালানী সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবহারের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও, প্রদেশ সরকার অর্থনৈতিক কাঠামোর সমম্বয় জোরদার করেছে। যেমন কয়লা, গার্মেন্টস ও বিদ্যুত্ উত্পাদনসহ যে সব জায়গায় জ্বালানী সম্পদ বেশি ব্যবহৃত হয় ও দূষণ ছড়ায় সেগুলোর ওপর পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হয়েছে।
কয়েক বছরের প্রচেষ্টার পর ২০০৬ সালে শানতুং প্রদেশে প্রতি দশ হাজার ইউয়ান রেনমিনপি জিডিপির জন্য ব্যবহৃত জ্বালানী সম্পদের পরিমাণ ২০০৫ সালের তুলনায় শতকরা ৩.৪ ভাগ কমেছে এবং প্রধান দূষিত গ্যাসের নিঃসরনের পরিমাণ কমেছে শতকরা ২ ভাগ। সারা প্রদেশে পরিবেশ ও বাতাসের বিশুদ্ধতার মাত্রা ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শানতং প্রদেশের ১৭টি শহর চীনের জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষার মানদন্ড অনুযায়ী আদর্শ শহরের মর্যাদা লাভ করেছে। আবর্তনশীল অর্থনীতির উন্নয়ন, জ্বালানী সম্পদ সাশ্রয় ও গ্যাস নিঃসরন কমানোর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই প্রদেশের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়ে গেছে। ।
1 2
|