২২ আগস্ট সুর্য কারাজ্জ্বল দিন । আজকে আমরা বিশ্রাম নেয়ার জন্য লাসায় থাকি । সকাল ১০টায় আমাদের নেতা পরিচালক থোং লা কো আমাদের জন্য একটি সাক্ষাত্কার সম্মেলনের আয়োজন করেন । আমাদের সাক্ষাতের ছবি ও প্রবন্ধ পেইচিংয়ের সি.আর.আই চীনা ভাষা ওয়েবসাইটে আপলোড করার কারণে পরিচালক থোং দলের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে যোগাযোগ করেন এবং আগামী কয়েক দিনে তিব্বতের সাক্ষাত্কারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন । সম্মেলনের পর আমরা পোতালা প্রাসাদের কাছে অবস্থিত একটি বই-এর দোকানে গিয়ে তিব্বত সংক্রান্ত বই ও সিডি কিনেছি । বই পড়া আমাদের ভালভাবে তিব্বত জানার জন্য অনেক সুবিধা দেবে । সারা বিকেল ধরে হোটেলে সাক্ষাত্কারের সংশ্লিষ্ট ছবি এবং ওয়েবসাইটের প্রবন্ধ সংগ্রহ করে সি.আর.আই'র লাইনে আপলোড করতেই সন্ধ্যা সাতটা বেজে যায় হয়েছে ।
আমাদের তিব্বতীয় জাতির অনুবাদক ,তিব্বত বেতারের লুওসোং হোটেল এসে আমাদের বার্খোর রাস্তা নিয়ে তিব্বতের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ভাত খাওয়ান । তিব্বত আসার পর প্রায় ১০ দিন ধরেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিছুয়ান বৈশিষ্ট্যের খাবার খেয়েছি , কোনো তিব্বতীয় খাবার খাই নি । আমরা বার্খোর রাস্তার একটি বিখ্যাত তিব্বতীয় রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করি । সাড়ে সাতটায় রেস্টুরেন্টে অনেক অতিথি রয়েছে । অধিকাংশ অতিথিই বিদেশী পর্যটক । তিব্বতীয় রেস্টুরেন্ট বিদেশী পর্যটককে স্বাগত জানানোর কারণে অনেক ধরনের খাবারের প্রস্তুতি নেয় । যেমন ভারত, নেপাল এবং পশ্চাত্য দেশের খাবার । পরিসেবক বলে, এ রেস্টুরেন্টের পাচক একজন নেপালী । তিনি দক্ষিণ এশিয়ার খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ভালভাবে রান্না করেন। আমরা তিব্বতের বৈশিষ্ট্যময় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি ডিশও অর্ডার দেই । তিব্বতের মিষ্টি ও লবণ মাখন চা খেয়ে তিব্বতের খাবার খাই, রেস্টুরেন্টে তিব্বতের সংগীত শুনি । অনেক ভালো লাগে ।
1 2
|