v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-09 21:04:17    
শে জাতি ও তাদের লোক সংগীত

cri

    শে জাতি দক্ষিণ চীনের একটি সংখ্যালঘু জাতি । এর ৯০ শতাংশেরও বেশি অধিবাসী চীনের উপকূলীয় ফুচিয়ান প্রদেশের পূর্বাংশ ও চেচিয়াং প্রদেশের দক্ষিণাংশে বসবাস করছে । শে জাতির পূর্বপুরুষরা যাযাবরের মত স্থানান্তর করতে পছন্দ করতো । প্রাচীনকালে তারা দক্ষিণ চীনের অধিকাংশ অঞ্চলে থাকতো । নিরন্তর স্থানান্তর করার পাশাপাশি শে জাতির লোক সংগীতও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । 

    পাইলুখাং পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি উপকূলীয় ছোট গ্রাম । এই গ্রাম চেচিয়াং প্রদেশের পূর্বাংশে শে জাতির একটি প্রধান অধ্যুষিত এলাকা । এই অঞ্চলের লোকেরা সবসময় গান গাইতে পছন্দ করেন । গান গাওয়া শে জাতির নিত্য দিনের একটি অত্যাবশ্যক অংশে পরিণত হয়েছে । পাইলুখাং গ্রামে সংবাদদাতা ৭৫ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ চুং ছাং রাও'র সঙ্গে দেখা করলেন । বৃদ্ধ চুং ছোট বেলা থেকেই প্রবীণদের কাছ থেকে শে জাতির গান গাইতে শুরু করেন । তিনি বলেন , যেখানে শে জাতির অধিবাসীরা থাকে , সেখানে শে জাতির লোক সংগীত শোনা যায় । বিশেষ করে শে জাতির বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী উত্সবে সাধারণতঃ একসঙ্গে কয়েক হাজার লোকের সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । যখন এই ধরণের সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয় , তখন সংগীতাষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য চার দিকের গ্রামবাসীরা এ উত্সস্থানে জড়ো হয় । তারা সবাই গান গাইতে পারে । অল্প বয়সে বৃদ্ধ চুং ছাং রাও বহু বার এই ধরনের সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন , এক দিন গান গাওয়ার জন্য তিনি ও তার একজন আত্মীয় পাহাড়ের উপরে যান । সন্ধ্যায় খাওয়ার পর তারা গান গাইতে গেলেন । মধ্যরাতে গান গাওয়া শেষে তারা বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করলেন । পথে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিলো । ফলে তারা দু'জনই আপাদমস্তক ভিজে গেলেন পড়লেন । কিন্তু তারা খুব খুশি ।

    বৃদ্ধ চুং ছাং রাও বলেন , শে জাতির লিখিত ভাষা নেই । সুতরাং শে জাতির লেখালেখি হান ভাষায় লেখার ওপর নিভরশীল । আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি উত্পাদন ও জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে শে জাতি ও হান জাতির ব্যবধান ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে । শে জাতির বহু অল্পবয়সীরা শে জাতির ভাষাও বলতে পারছে না । ফলে শে জাতির সংস্কৃতি ও লোক সংগীত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । এতে বৃদ্ধ চুং ছাং রাও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । আগে পাইলুখাং গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে হাতের লেখা কয়েকটি গানের বইপুস্তক ছিল । এখন এ সব বইপুস্তকও বিলুপ্তির দিকে চলছে । বেশ কিছু বয়স্ক মারা গেছেন । অধিকাংশ অল্পবয়সীরা শে ভাষাও বলতে পারে না । শে জাতির গান গাওয়া তো আরো দূরের কথা ।

1 2