২০ আগস্ট ভোরবেলা জেগে উঠার পর বাইরের আবহাওয়া খুবই ভালো । বৃষ্টি না হওয়ায় সুর্যালোক খুবই উজ্জ্বল । শুনেছি এ দু'সপ্তাহের মধ্যে ইয়াতুং-এ প্রতিদিন বৃষ্টি হয়েছে। আজকে আমাদের ভাগ্য খুবই ভালো। নাস্তা খাওয়ার পর আমরা নাথুলা পাহাড়ে যাই । যদিও বৃষ্টি পড়ছে না কিন্তু দু'সপ্তাহের বৃষ্টির পর পাহাড় যাওয়ার পথে অনেক মাটি জমে রয়েছে । সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমাদের গাড়ি আস্তে আস্তে পথ চলতে থাকে । গাড়ির অব্যাহত ঝাঁকির কারণে আমাদের পেট ও শরীরে অনেক অস্বস্তি লাগে । গাড়ির জানালা থেকে বাইরে দেখি পথের নিচে নদী ও সবুজ বন রয়েছে । অনেক নীচে তাকালে খুবই ভয় লাগে । অপ্রশস্ত পথে নানা ধরনের পথ মেরামতের মেশিন গাড়ি থাকায় আমাদের চলা আরো কঠিন হয়ে উঠে ।মাত্র ২৭ কিলোমিটার দুরে যেতে আমাদের গাড়ির প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লেগে যায় । আমরা নাথুলা পাহাড়ে আরহণ করি ।
নাথুলা পাহাড় হচ্ছে চীন ও ভারতের সীমান্ত লাইন । পাহাড়ের শীর্ষ স্থানে চীনা গণ মুক্তি ফৌজের এবং ভারতের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা কেন্দ্র রয়েছে । দু'দেশের সীমান্ত লাইনে নাথুলা সীমান্ত বাজারের শিরোনাম দেখতে পাই । আমরা চীনের সীমান্ত অঞ্চলে দাঁড়িয়ে ভারতের সৈন্যদের সঙ্গে ছবি তুলি এবং যোগাযোগ করি । তারা আন্তরিকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলে । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নাথুলা পাহাড়ের উচ্চতা ৪৫৪৫ মিটার, সারা বছর সেখানকার আবহাওয়া শরত্কাল বা শীতকালের মতো । আমরা অনেক পোশাক পরে সেখানে দাঁড়াই, একটু ঠাণ্ডাও লাগে । প্রতিরক্ষা কেন্দ্রের চীনা সৈন্যরা সবসময় শীতকালের কাপড় পরে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে । চীন-ভারত নাথুলা সীমান্ত বাজার চীনের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রের নিচের দিকে অবস্থিত । আজকের আবহাওয়া ভালো বলে ভারত থেকে আসা ব্যবসায়ীর সংখ্যা সাধারণ সময়ের চেয়ে একটু বেশি । তারা প্রতিরক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার পাস নেয়ার পর সীমান্ত বাজারে প্রবেশ করতে পারে ।
1 2
|