জনমত এই যে, হাজার হাজার ইরাকী শরণার্থী তাদের অবস্থানকারী দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মৌলিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জটিল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি ইরাকের প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের সীমান্ত পরীক্ষার কাজ জোরদার করেছে। একই সঙ্গে সৌদী আরব প্রচুর অর্থ দিয়ে ইরাকের প্রতিবেশী অঞ্চলে ইলেকট্রোনিক তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের পৃথকীকরণ ব্যবস্থা স্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এর ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করছে যে, ইরাকের পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন" আমি আশা করি এবারের সম্মেলন ইরাকের শরণার্থীদের বেশি সুরক্ষা ও সমর্থন এনে দিতে পারে। ইরাকের প্রতিবেশী দেশগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে সীমান্ত এলাকা খুলে রাখা । যাতে শরণার্থীদের জোর করে ফিরিয়ে দেয়া না হয়।"
এবারের দু'দিনব্যাপী ইরাকের শরণার্থী সংক্রান্ত সম্মেলনে তৃতীয় দেশগুলোতে এ সব শরণার্থীদের বন্দোবস্ত এবং তাদেরকে নিজের দেশে ফিরে যেতে উত্সাহ দেয়ার বিষয় অন্তর্ভূক্ত ছিল। অংশগ্রহণকারী বেসরকারী সংস্থা " হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ" বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ইরাক যুদ্ধ শুরুকারী হিসেবে তাদের উচিত বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা। শরণার্থী গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বেশি প্রচেষ্টা চালানো উচিত। 1 2
|