" ইউ এন এইচ সি আর" এর ১৭ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইরাকের শরণার্থী সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্মেলনে মোট ৬০টিরও বেশি দেশের মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের উদ্যোগে ইরাক যুদ্ধ শুরু করার পর, ইরাকে বেশি গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি দেখা যায়নি। বরং দেশটিতে গুরুতর মানবাধিকার সংকট রয়েছে। এ যুদ্ধের মাধ্যমে ইরাকী জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ কর্মকর্তা অ্যানটনি গুতোরেস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন :" এখন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইরাক যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত একটি ভয়াবহ যুদ্ধ। তবে মানুষ ইরাকের মানবাধিকার সংকটের বিষয়টি খুবই কম জানে। এ ব্যাপারে অনেক বেশি গৃহহারাদের ট্র্যাজেডি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়নি।"
গুতোরেস এসব কথা এবারের সম্মেলন লক্ষ করে বলেছেন। যাতে সারা বিশ্ব ইরাকের শরণার্থী সমস্যার ওপর গুরুত্ব দেয় এবং এ সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে পাওয়া যায়। আসলে, ইরাকের মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর । পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধ শুরুর পর, মোট ২০ লাখেরও বেশি ইরাকী শরণার্থী হিসেবে বিদেশে পালিয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারী থেকে ইরাকের ধর্মীয় সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে শুরু হওয়ায় দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। শুধু গতবছর নতুন শরণার্থীর সংখ্যা হয়েছে ৮ লাখ। এখন প্রত্যেক মাসে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ইরাকী শরণার্থী ব্যাপকভাবে প্রতিবেশী দেশে চলে যায়। এর ফলে ইরাকের গৃহহারাদের সংখ্যা হয়েছে মোট ২০ লাখ।
হাজার হাজার শরণার্থী ইরাকের প্রতিবেশী সিরিয়া, জর্ডান এবং ইরানসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সিরিয়া এবং জর্ডানে ইরাকী শরণার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ । এ জন্য গুতোরেস তার উচ্চ পর্যায়ের মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন:" সিরিয়া এবং জর্ডান বাইরের কোন সাহায্য না পেয়েও ইরাকী শরণার্থীদের জীবনের নিশ্চয়তা এবং মৌলিক মানবিক সাহায্য দিয়েছে। আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।" তিনি আরো বলেছেন, এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইরাকের শরণার্থী সমস্যা সমাধান করা এবং সিরিয়া ও জর্ডানের মতো দেশগুলোকে সাহায্য দেয়ার উপযুক্ত সময় ।
1 2
|