v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-25 11:45:51    
হান হোং ও তাঁর গান

cri

হান হোং

    তিব্বতী জাতির গায়িকা হান হোং হচ্ছেন চীনের পপ সংগীত জগতের একজন বিশিষ্ট সুরকার। তার প্রকৃতিদত্ত কণ্ঠ এবং বৈশিষ্ট্যময় সুর ও গানের কথা রচনায় অনেক উপমা ব্যবহারের কারণে তিনি অসংখ্য অনুরাগীর অকুণ্ঠ সমাদর পেয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে সেই চীনা শিল্পী হান হোংকে পরিচয় করিয়ে দেবো ও তাঁর গানগুলো শোনাব ।

    হান হোং তিব্বতের ছানতুং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাও হচ্ছেন একজন বিখ্যাত তিব্বতী গায়িকা। মায়ের অনুপ্রেরণায় হান হোং ছোট বেলা থেকেই সংগীতের প্রতি গভীরভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেন। ১৪ বছর বয়সেই তিনি জাতীয় পর্যায়ের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেন। এর পর হান হোং শিল্পকলা বিষয়ক একাডেমিতে ভর্তি হয়ে সংগীতের ওপর লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে ছাত্রী থাকাকালীন সময় তিনি "হিমালয়" নামক একটি গান গেয়ে কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্রের সংগীত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার পান। এই গানের মধ্য দিয়ে চীনের সংগীত জগতে তাঁর নাম দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তাঁর নিজের রচিত তুষার অঞ্চলের আলো, স্বদেশ, ঝড়-ঝঞ্চার সৌন্দর্য এবং ঊষাসহ বহু গান গেয়েছেন এবং চীনা দর্শকদের গভীর প্রশংসা পেয়েছেন।

    হ্যাঁ, বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন হান হোংয়ের গাওয়া "হিমালয়" এই গানটি। গানের কথা সহজ, সরল ও প্রাণবন্ত । এই গানের সুরের ভেতর দিয়ে তিব্বতী জাতির জনগণের স্বদেশের প্রতি গভীর ভালাবাসা ও আবেগের কথা বলা হয়েছে। গানের কথাগুলো হলোঃ "আমি হিমালয় থেকে এসেছি। পোতালাকে বুকে জড়িয়ে রাখি। ঘি ও তিব্বতী পিঠা আমাকে শক্তি দেয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি আমার লম্বা চুল পরিষ্কার করে। আর আত্মীয়স্বজনরা আমাকে সাদা হাদা পড়ান। তারা আমাকে লাসায় ফিরতে বলেন। আদর্শের জন্য আমি বাসা ছেড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে চলে এসেছি। আমি জানি একদিন না একদিন আমি হিমালয়ে ফিরবো। তুষার পাহাড় ঘেরা আমার বাড়িতে ফিরবো।"

    হান হোংয়ের সবল কণ্ঠ এবং স্বর পরিষ্কার মিহিদানার মত। তাঁর গান গাওয়ার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পদ্ধতি চীনের পপ সংগীত জগতে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। হান হোং কেবল একজন চমত্কার গায়িকা শুধু তা নন, বরং তিনি সুর ও গানের কথা রচনার ক্ষেত্রেও নিপুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে তাঁর নিজের এলবাম প্রকাশের আগেও তিনি অনেক বিখ্যাত শিল্পীর জন্য অনেক জনপ্রিয় গান লিখেছেন এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় একাধিকবার পুরস্কারও পেয়েছেন। হান হোংয়ের রচিত গান আন্তরিক ও উদ্দীপনায় ভরা। তিনি চীনের প্রচলিত জাতীয় সংগীত ও পপ সংগীতের ধারাকে চমত্কারভাবে মিশিয়ে কথা, সুর, তথ্য ও চীনের রীতিনীতিকে আধুনিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তুলে ধরেন সঙ্গীতানুরাগীদের কাছে।

1 2