v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-24 18:54:23    
মঙ্গোলিয়া জ্বালানি সম্পদের সাশ্রয় ও পরিবেশ সুরক্ষার পথে চলছে

cri

    শহরের ময়লা আবর্জনাও দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানিকে পরিশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনরায় বিদ্যুত্ উত্পাদন করা সম্ভব। আগুণের পোড়ার পর কয়লার বর্জ্য পদার্থকেও প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার যোগ্য করা যায়। এখন এ ধরণের জ্বালানি সম্পদের সাশ্রয়ী রূপ চীনের উত্তরাঞ্চলের মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে । তাছাড়া, মঙ্গোলিয়া মিথেন গ্যাস এবং বায়ুচালিত জ্বালানি সম্পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের নতুন ধরণের দূষণমুক্ত জ্বালানি সম্পদও ব্যবহার করছে।

    শেন হুয়া উ হাই রাসায়নিক শিল্প লিমিটেড কোম্পানি মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যাংশের উ হাই শহরে অবস্থিত। এ কোম্পানির প্রধান কাজ হলো কয়লার প্রক্রিয়াকরণ করা। এ কারণে এ শিল্প কারখানা পরিবেশ দূষণ ক্ষেত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে বলা হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি আমাদের সংবাদদাতা সেখানে গিয়ে পরিবেশ দুষণ করে এমন কিছু দেখেননি। পরিবেশ সুরক্ষার ওপর এ কোম্পানি সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখছে। তারা কয়লার পুনরায় ব্যবহার সংক্রান্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গবেষণায় অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এখন জ্বালানি সম্পদের সাশ্রয় ও পরিবেশ সুরক্ষার ব্যাপারে এ কোম্পানি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন: " আগে আমরা কয়লা পরিষ্কার করার পর সংশ্লিষ্ট সকল বর্জ্য নদীতে ফেলে দিতাম । এর ফলে নদীর পানিসহ পরিবেশের অনেক দূষণ হতো। এখন নতুন উপায়ে সেই বর্জ্যকে ব্যবহার করে পুনরায় বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারি। আরেকটি কথা, কারখানার দূষিত পানি পরিশোধনের পর পুনরায় ব্যবহার যোগ্য করেছে। এ জন্য আমাদের কোম্পানির যেখানেই যাননা কেন সেখানে সব পরিষ্কার পরিবহন দেখতে পাওয়া যাবে।"

    মঙ্গোলিয়ার নাম চলে আসছে চীনের সেই থাং রাজবংশ থেকে। তখন মঙ্গোলিয়া বহু উপজাতির উত্পত্তিস্থল এরকুনা নদীর পূর্ব তীরে ছিল। পরে তা পশ্চিমে স্থানান্তরিত হয়েছে। তাদের উপজাতিতে লোকসংখ্যা, গবাদিপশু আর সম্পত্তি লুট করা নিয়ে অবিরাম যুদ্ধ বেধে থাকতো। ১২০৬ সালে তৈমুর লং মঙ্গোলিয়ার রাজা নির্বাচিত হন, তাঁকে ডাকা হয় চেংগিস খান। সেসময় মঙ্গোলিয়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে চীনের উত্তরাংশে প্রথম বারের মতো একটি শক্তিশালী , স্থিতিশীল আর ক্রমাগত উন্নয়নশীল জাতি -মঙ্গোলিয় জাতি দেখা গেছে। তারপর চেংগিস খানের রাজত্বে মঙ্গোলিয় জাতির বিভিন্ন উপজাতি ও চীন একীভূত হয়েছে এবং ইউয়ান রাজবংশও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গোলিয় জাতির বেশির ভাগ লোক লামা ধর্ম বিশ্বাস করে।

1 2