বিকেলে আমরা সিগাজের একটি উপজেলা চিয়াছুওইয়োং-এর দুটি তিব্বতীয় কৃষকের পরিবার গিয়ে তাদের সাক্ষাত্কার নেই । প্রথম পরিবারটি এখন পরিবহন ব্যবস্থা চালু করেছে । তাদের গ্রামের নাম তিনা গ্রাম অথবা মধ্য-বাস গ্রাম । কারণ তাদের গ্রামের প্রতি পরিবার এখন মধ্য-বাস দিয়ে সিগাজে থেকে তিব্বতের বিভিন্ন শহরে যাওয়া যাত্রী পরিবহন করে । গত বছর চীন সরকারের সাহায্যে গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের জন্য নতুন বাসভবন নির্মাণ করার নীতিতে তাদের পরিবারের জন্য নতুন বাসভবন নির্মিত হয়েছে । বাসভবনের আয়তন প্রায় ১০০০ বর্গমিটার। ১০ লাখেরও বেশি রেনমিনপি এতে ব্যয় হয়েছে । বাসের তিব্বতীয় যন্ত্রপাতি খুবই সুন্দর , এর মানদন্ড চীনের অনেক শহরের অধিবাসীদের বাসের চেয়েও ভালো । গৃহকর্তা পুতান আন্তরিকভাবে আমাদের জন্য তিব্বতের মাখন চা তৈরী করেন এবং আমাদের জন্য তাঁর পরিবারের পরিবহন ব্যবস্থা করার পর ধনী হওয়ার গল্প বর্ণনা করেন ।বর্তমানে প্রতি বছর তাঁর পরিবার পরিবহন ব্যবআ ক্ষেত্রে প্রায়১৫ লাখেরও বেশি আয় করেন । চলতি বছর তিব্বতের পর্যটন আরো উন্নত হওয়ার কারণে তাঁদের আয় আরো বেশি হবে ।
অন্য একটি পরিবার পনির তৈরী করার মাধ্যমে ধনী হয়েছে । তাদের পরিবার হল চিয়াছুওইয়োং উপজেলার প্রথম পনির তৈরী পরিবার এবং পনির তৈরী করার জন্য প্রয়োজনীয় দুধ সংগ্রহের জন্য স্থানীয় সরকারের সাহায্যে গরু কিনেছে । তার পরিবারে ৮জন সদস্য রয়েছে । বাস ছাড়াও প্রায় ১০টি গরু রয়েছে । তাদের পনির এখন সিগাজে অঞ্চলে অনেক জনপ্রিয় । প্রতিদিন তৈরী করা পনির দ্রুত বিক্রি হয়ে যায় । গৃহকর্ত্রী চুওকা আমাদের জন্য তাদের পনির তৈরীর পদ্ধতি ও গুণগতমানের কথা বলেন । চুওকার ছেলে চাশির বয়স ২০ বছরের একটু বেশি । কিন্তু বিয়ে করেছে প্রায় ৫ বছর । চাশির ছোট বোন ভালভাবে লেখাপড়া করতে পারে । এখন মেধাবী ছাত্রী হিসেবে শাংহাইয়ের ভালো উচ্চ স্কুলে লেখাপড়া করে । চুওকা আন্তরিকভাবে আমাদের জানান, চীন সরকারের সাহায্যে তার পরিবারের বিরাট পরিবর্তনে তারা খুব খুশি এবং আশা করেন, তাঁর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী পাওয়ার পর চীনের উন্নয়নের জন্য আরো বেশি অবদান রাখবে । আজকের সাক্ষাতের মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের মতো সরাসরিভাবে তিব্বতীয় লোকদের সঙ্গে তাদের মনের ভাব বিনিময় করি এবং আরো নির্দিষ্টভাবে তিব্বতে চীন সরকারের চালানো নীতি বুঝতে চেষ্টা করি । আজকের কাজ আমাদের এ পর্যন্তই।
1 2
|