আজ ১৬ আগস্ট। আমরা তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সিগাজে যাই ।গতকাল প্রায় ১০টায় আমরা নামুছুও থেকে লাসায় পৌঁছি । এখনও কেউ রাতের খাবার খাই নি, অনেক খিদে পেয়েছে । ফলে আমরা একটি ছোট রেস্টুরেন্টে চিছু নুডল খেয়ে নেই । রাত হোটেলে ফিরেই ১২টার মধ্যে সবাই ঘুমতে যাই । সকাল সাড়ে সাতটায় আমরা নিজেদের লাগেজ নিয়ে সিগাজে যাই । লাসা থেকে সিগাজের দুরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, সীমাবদ্ধ গতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে যাওয়ার পথে অনেক পুলিশ স্টেশন রয়েছে । ফলে আমাদের গাড়ি প্রতি ঘন্টায় গতি শুধু মাত্র ৫০ কিলোমিটার করে চলেছে । সিগাজে যাওয়ার পথে আমাদের ড্রাইভার বাসাং একটি ফোন পেয়েছেন । তাঁর সহকর্মী জানিয়েছেন যে, গতকাল আমরা নামুছুও থেকে ফিরে আসার পর নামুছুও হ্রদ এলাকায় খুব বৃষ্টি হয়েছে । ফলে সেখানকার পথ -ঘাট সবই বলতে গেলে চলাচলের অযোগ্য। যদি আমরা আজ নামুছুও যাই, তাহলে সেখানে থাকতে হবে ।

বিকেলে ২টায় আমরা সিগাজে পৌঁছি। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর আমরা সিগাজে শহরের সরকারী কার্যালয়ে যাই । স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাগণ আমাদের জন্য পর্যটন ব্যুরো ও সংস্কৃতি ব্যুরোর কর্মকর্তাদের সাক্ষাত্কারের ব্যবস্থা করেন । সারাদিন গাড়িতে থাকার কারণে সবাই একটু ক্লান্ত । কিন্তু আমরা বিশ্রাম না নিয়ে সরাসরি পর্যটন ব্যুরো এবং সংস্কৃতি ব্যুরোতে যাই । পর্যটন ব্যুরো ও সংস্কৃতি ব্যুরোর নেতৃবৃন্দ আন্তরিকভাবে সিগাজের নানা তথ্য আমাদের জানিয়েছেন । আমাদের সাক্ষাত্কারের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে । আমরা সিগাজের সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রীতিনীতি ও হস্ত শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য জেনে নেই । সাক্ষাত্কার শেষে সন্ধ্যায় ফিরে আসি ।

1 2
|