১৯৫৯ সালে ফু সিয়াও হাই হারবিন শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তিনি তৈল ছবি আকঁতে পছন্দ করতেন। কিন্তু পরে ফটোগ্রাফার হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি রাশিয়ায় পোট্রেট ছবি তোলা শিখতে যান। রাশিয়ায় ফু সিয়াও হাই অনেক শিখেছেন। এরপর তিনি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের অনেক দেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২০০২ সালে তিনি পেইচিংয়ে ফিরে এসে মানুষের পোট্রেট ছবি তুলতে শুরু করেছেন। তার ছবিগুলোয় অনেক বিখ্যাত মানুষকে দেখা যায়।
ফু সিয়াও হাই একজন সৌন্দর্যতাত্ত্বিক ফোটগ্রাফার । তিনি আলোর পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের পোট্রেট তোলায় ভাল কাজ করছেন। এবং তার ছবি থেকে দর্শকরা এক রকম ইতিবাচক অনুভূতি ও আনন্দ পেয়ে থাকে। তিনি তার ছবি নিখুঁতভাবে তোলার জন্য খুটিনাটি অনেক বিষয়ের উপরেও খুব মনোযোগ দিয়ে থাকেন। যেমন, তার কল্পনার আলো পাওয়ার জন্য তিনি অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করতে পারেন। ছবি'র লক্ষ্য মানুষের সবয়েচে ভাল অবস্থা ধরে রাখার জন্য তিনি খুব ধৈর্যসহকারে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বলেছেন:
"আমার কাজ আসলে আস্থা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। বিনিময় ছাড়া আমার ছবিগুলো ভাল হবে না। তাদের সঙ্গে পরিচিত হলে আমার ছবি তোলার জন্য খুব সহয়ক হবে। তারাই আমাকে ছবিটি ভালভাবে উঠার জন্য সাহায্য করে।"
এখন ফু সিয়াও হাই পুরোপুরি "অলিম্পিক নির্মানকারী" ধারাবাহিক ছবি তোলায় মনযোগ দিচ্ছেন। তিনি সব সময় নিরাপত্তা হেলমট পরে ভারি ফোটগ্রাফিক যন্ত্রপাতি নিয়ে নির্মান স্থলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। শ্রমিকরা ব্যস্ত হলেও তাকে দেখে হাশিমুখে তার সঙ্গে কিছু কথা বলেন। এমনিভাবে ফু সিয়াও হাই অনেক চমত্কার ছবি তুলেছেন।
"অলিম্পিক নির্মানকারী" ছবিগুলো চীনে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এবং তা বিশ্বেও খুব ভাল প্রভাব ফেলেছে। কারণ অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে এমনিভাবে নির্মানকারীদের উপর দৃষ্টি রাখার তেমন কোন ছবি ছিল না। তার ছবির মাধ্যমে দর্শকদের মনে হয় যেন নিজেই নির্মান স্থলে ছিলেন। ফু সিও হাই বলেছেন, এটাই হলো তার ছবিগুলো তোলার প্রধান লক্ষ্য।
"আমি ছবিগুলোর মাধ্যমে মানুষের মধ্যকার সমান, মর্যাদা ও ভালবাসা প্রকাশ করতে চাই। তাকে "অলিম্পিক সংস্কৃতি"এর প্রধান অংশ বলে আমি মনে করি। যে কোনো ভাবেই অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ার সদস্য হতে হবে। তা হলো অলিম্পিকের একটি আকর্ষণীয় দিক।"
তিনি আশা করেন অলিম্পিক আয়োজনের পর বিশ্ববাসী তার ছবির মাধ্যমে স্টেডিয়াম নির্মানকারী শ্রমিকদের প্রচেষ্টার কথা বুঝতে ও জানতে পারবে। তার কাজ এখনো চলছে। অলিম্পিক গেমসের পর তিনি এসব ছবি দেশকে দিয়ে দেবেন। (ইয়াং ওয়েই মিং)
1 2
|