v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-10 14:50:14    
থুং চি ইউনিভার্সিটি

cri

    "আমি তুরস্ক থেকে এসেছি। এখানে প্রায় এক বছর ধরে পড়াশোনা করেছি। গত বছরে আমার বন্ধু এসেছে। তারা বলেছে এ বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভাল, শিক্ষা ব্যবস্থাও ভাল। তাই আমিও এসেছি।"

    অনেক ছাত্র চীনা ভাষা খুব কঠিন মনে করে। কিন্তু থুং চি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাহায্য তারা আস্তে আস্তে নতুন ভাষার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। একজন বাংলা ছাত্র সালিম বলেছেন:

    "আমি মনে করি ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনে পড়াশোনা করা ভাল। কারণ এখানকার শিক্ষকরা খুব ভাল। তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তারা বলেছে ছয় মাস ধরে তুমি চেষ্টা করো, তারপর যদি তখনো এ্যাডজাষ্ট করতে না পারো তাহলে তুমি ফিরে যেও। আমি তাদের কথা শুনে এবং সাহায্য নিয়ে নিজেই চেষ্টা করেছি। তারপর দেখেছি চীনা ভাষা তেমন কঠিন নয়।"

    থুং চি বিশ্ববিদ্যালের সাইন্স বিষয় পড়া একটু কঠিন। তাই থুং চি ইউনিভার্সিটিতে নতুন আসা ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। তারা শুধু প্রথম বছরে এখানে ভাষা এবং মৌলিক বিষয় পড়াশোনা করে। এর ফলে পরে তাদের বিশেষ বিষয়ে পড়ার জন্য আরো সুবিধা হবে।

    বিদেশ অফিসের উপ-প্রধান লিন দে লুং বলেছেন, থাইল্যান্ড সরকার তাদের ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে লেখাপড়ার জন্য সরকারি স্কলাশিপ প্রদান করছে। তাদের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে। এক বছর পর দেখা গেছে চীনে আসা ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার ফলাফল সবচেয়ে ভাল। এর কারণ নিয়ে লিন দে লুং বলেছেন:

    "কারণ আমাদের শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের বেশি যত্ন নেন। এর ফলে তারা নতুন পরিবেশে ভালভাবে খাপ খাওয়াতে পারে। তার পাশাপাশি চীনের সংস্কৃতিক পরিবেশ তাদের জন্য পরিচিত।"

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসেবা ছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা স্বেচ্ছাসেবায় অনেক আগ্রহী। তাদের নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রছাত্রী কমিউনিটি প্রায় ১০০টি। থুং চি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ভাগের তিন ভাগ ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন ভিবিন্ন কমিউনিটিতে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন কমিউনিটির জন্য ভাল পরিসেবা দেয়ার জন্য একটি কমিনিটি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুন ইয়ু বলেছেন:

    "আমাদের এই সংস্থা ৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে আমাদের লক্ষ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয়া। তাদের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবার মঞ্চ যুগিয়ে দেয়া। যাতে তারা নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সমাজের জন্য নিজের অবদান রাখতে পারে।"

    বাঙলী মেয়ে মিলি বলেছে:

    "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি অনেক জ্ঞান শিখেছি। কিন্তু চীনে আমি আরো স্বাধীন হয়ে উঠেছি। এখানে অনেক ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক আছে। আমার একদম একা লাগে না। এখন আমার মতে বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি এবং চীন আমার দ্বিতীয় মাতৃভূমি। চীনের স্কলারশিপ কাউন্সিলের মাধ্যমে আমার একটি নতুন জীবন শুরু হয়েছে।"

    ২০০৭ সালের ২০ মে থুং চি বিশ্ববিদ্যালয় তার এক'শতম জন্মদিন পালন করেছে। আশা করি তার দ্বিতীয় এক'শতম জন্মদিনের সময় আরো বেশি ছাত্রছাত্রী তার সঙ্গে উদযাপন করতে পারবে।

    আচ্ছা শ্রোতা বন্ধুরা, আজকের "আমার স্বপ্ন, আমার শিক্ষা" অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। থুং চি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের ঠিকানো হলো www.tongji.edu.cn আজকের আসরের প্রশ্ন হচ্ছে, চলতি বছর হচ্ছে থুং চি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কত বছর? আগামী আসলে ফু তান বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য আপনাদের জানাবো। সবাই ভাল থাকেন, সুস্থ্য থাকেন। আবার কথা হবে।


1 2