দ্বিতীয়তঃ বুশ এবারের সফর হিসেবে ইরাকের আনবার প্রদেশকে বেছে নিয়েছেন। কারণ, আনবার প্রদেশ হচ্ছে ইরাকের সশস্ত্রব্যক্তি এবং আল কায়েদা সংস্থার সবচেয়ে বেশী সন্ত্রাসী তত্পরতা চালানো এলাকা। এটা বোঝা যাচ্ছে যে, বুশ বিশেষ করে চলতি বছর ইরাকে আরো ৩০ হাজার মার্কিন সৈন্য পাঠানোর পর মার্কিন বাহিনীর বর্তমান অবস্থা দেখার জনেই সফরে এসেছেন। এর ফলে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আরো বেশী সৈন্য পাঠানো সঠিক ও প্রয়োজনের কথা প্রতিফলিত হয়েছে।
তাছাড়া, বুশের এবারের ইরাক সফর হচ্ছে এক দিকে, যদিও ইরাকের প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানি, প্রধানমন্ত্রী আল মালিকি,সুন্নী সম্প্রদায়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট তারিক আল-হাশিমি, শিয়া সম্প্রদায়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আদেল আব্দুল-মেহদি এবং কুর্দিশ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নেতা মাসুদ বার্জানি ২৬ আগস্ট ঘোষণা করেছেন যে, তারা সাবেক পুনরুত্থান পার্টির সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা ও স্থানিয় নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একমত হয়েছেন। তবুও সুন্নি সম্প্রদায়ের 'অ্যাকর্ডেন্স ফ্রন্ট', শিয়া সম্প্রদায়ের মাকতাদা আল-সাদর গ্রুপ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আয়াদ আল্লায়ির নেতৃত্বাধীন 'ইরাক লিস্ট' সরকারের সঙ্গে বোঝা বাড়া না হওয়ার সরকার থেকে বেরিয়ে গেছে। অন্য দিকে, মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সাংসদ সম্প্রতি ঘন ঘন মালিকি সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং মালিকি ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টিও অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে, বুশ আবার ইরাকে এসেছেন, স্পষ্টভাবে তিনি মালিকি সরকারকে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে জাতীয় পুনর্মিলন বাস্তবায়ন এবং রাজনীতি ও অর্থনীতির পুনর্গঠন দ্রুততর করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আসলে, মালিকির সঙ্গে বৈঠককালে বুশ বার বার জোর দিয়ে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন ইরাকের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও অর্থনীতির নির্মাণ পথকে সুগম করবে। সুতরাং ইরাকের নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি করা উচিত। 1 2
|