v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-04 19:56:46    
মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেন এই সময় ইরাক সফর করেন?

cri

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট র্জজ বুশ ৪ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় এপেকের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য যাত্রা করেছেন। এতে তিনি স্থানীয় সময় ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাত্ করে পশ্চিম ইরাকে অবস্থিত আনবার প্রদেশের মার্কিন বাহিনীর আল আসাদ বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। এটা তাঁর তৃতীয় বারের মত ইরাক সফর।

    বুশ ইরাকে শুধু ৬ঘন্টা ছিলেন। সফরকালে তিনি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি এবং ইরাকের অন্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাছাড়া তিনি ইরাকের পরিস্থিতি নিয়ে ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সর্বাধিনায়ক ডেভিড পিট্রাউস এবং ইরাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রায়ান ক্রোকারের কাছ থেকে সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে জেনেছেন। এর পরে বুশ বলেছেন, যদি ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে মোতায়েন তর বাহিনী কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এদিকে লোক্ষনীয় যে, বর্তমানে ইরাকের রাজনৈতিক সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং মালিকি সরকার বহিরাগত হামলাকারীদের মোকাবিলায় ত্রস্ত থাকতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি পেট্রাউস ও ক্রোকার আগামী সপ্তাহে কংগ্রেসের কাছে ইরাকের পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দাখিল করবেন। সে সময় বুশ সরকার এই রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর ইরাক নীতি সুবিন্যস্ত করবেন। সুতরাং বিশ্লষকরা উল্লেখ করেছেন, এই সময় বুশের ইরাক সফর করার বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে।

    প্রথমতঃ বুশের এবারের ইরাক সফর বুশ সরকারের ইরাক নীতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য যে, চলতি সপ্তাহে বুশের অস্ট্রেলিয়ায় এপেকের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা। আগামী সপ্তাহে পেট্রাউস ও ক্রোকার কংগ্রেসের কাছে ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর তাদের একটি প্রত্যায়ন রিপোর্ট দাখিল করবেন। বুশ সে অনুযায়ী আগামী পর্যায়ে তার ইরাক নীতি তৈরী করবেন। সুতরাং, চলতি সপ্তাহ নিঃসন্দেহ বুশের ইরাক নীতি সুবিন্যস্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় বুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাইস, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ইরাকে এসেছেন। তাছাড়া, ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সর্বাধিনায়ক এবং ইরাক মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ মার্কিন সরকারের এবং ইরাক সমস্যা সংক্রান্ত সকল উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সবাই ইরাকে অবস্থান করছে। স্পষ্টতই দেখা যায়, বুশের এবারের সফর হচ্ছে ইরাকে মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের একটি মিলিত সম্মেলন। তারা ইরাকে এসে ইরাকের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন। মার্কিন বাহিনীর একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার কথা হচ্ছে, এবারের সফর হচ্ছে বুশ এবং তার সামরিক উপদেষ্টাদেরসহ ইরাকের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইরাক নীতির ওপর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সর্বশেষ বড় ধরনের একটি সম্মেলন।


1 2