
ছিংহুয়ার ইতিহাস ঘটলেই তা বোঝা যায়। ছিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আগে ছিংহুয়া স্কুল ছিল। ১৯১১ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সালে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার ও পরিবর্তনের পর ছিংহুয়া "প্রকৌশলীদের লুলাবাই"র নাম পেয়েছে। ৯০ বছরেরও বেশি ইতিহাসে ছিংহুয়া নিজের বৈশিস্ট্যময় সংস্কৃতিকে গড়ে তুলেছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট সিয়ে ওয়েই হো বলেছেন, ছিংহুয়ায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আছে, তা হলো শুধু ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান শেখানো নয়, বরং তাদের সমাজের প্রতি দায়িত্ববান করে তোলা এবং তাদের স্বপ্ন গড়ে তুলতে সাহায্য করা। তিনি বলেছেন:
"ছিংহুয়ার এক ধরনের শক্তি আছে, তা হলো প্রতিটি লোকের নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করা উচিত। পাশাপাশি সমাজের প্রতি তাদের পরিসেবার দায়িত্বও বহন করা উচিত।"
ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তন্ত্র ও বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্ত করার রীতি আছে। ছিংহুয়াএর আরেকটি কথা আছে, তা হলো "কথার চেয়ে কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ"। ভাইস প্রেসিডেন্ট সিয়ে ওয়েই হো বলেছেন:
"এর মানে হলো বেশি কাজ করা এবং সমাজের বাস্তব অবস্থা জেনে নেয়া। পৃথিবীকে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে উন্নত করা।"
ছিংহুয়ায় এখন ৭৪টি দেশের ২০০০রও বেশি বিদেশী ছাত্রছাত্রী আছে। এবং ছিংহুয়া বিদেশের অনেক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে বিনিময়ের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য ছিংহুয়া ১০টি পুরো ইংরেজী মাস্টার কোর্স স্থাপন করেছে। পাশাপাশি বিদেশী ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন রকমের স্কলারশিপ দিচ্ছে।
অবশেষ ভাইস প্রেসিডেন্ট সিয়ে ওয়েই হো সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন:
"ছিংহুয়া একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীদের চীনে পড়াশোনা করতে আসাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি ছিংহুয়া তাদের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে ভাল পরিসেবা ও সাহায্য দেবে।"

1 2 3 4 5 6
|