চিউহুয়া পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত তোংইয়া মন্দির হল প্রাচীনকালে চিন ছিয়াও জুয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গবেষণা করা স্থানের অন্যতম । জানা গেছে, চিউহুয়া পাহাড় প্রধানত গ্র্যানাইট পাথর নিয়ে গঠিত । এ কারণে পাহাড়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় স্থাপত্যগুলো প্রধানত: পাহাড়ের গায়ে নির্মিত । কয়েকটি মন্দির এক একটি বড় পাথরের ওপর নির্মিত । তা কাছাকাছি পাহাড়, গাছ ও মেঘের সঙ্গে মিলে একটি বিশেষ দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে । চিউহুয়া পাহাড়ের গাইড লি লু বলেছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তোংইয়া মন্দিরের উচ্চতা৮৭১ মিটার এবং মন্দিরটি পাহাড়ের শীর্ষ স্থানে নির্মিত । মন্দিরে অনেক চাতক দেখা যায়, খুবই মজার । এখান থেকে নীচের দিকে তাকালে খাড়া ঢাল দেখতে পাই এবং ঝর্ণার পানির শব্দ শুনতে পাই । এখন অনেক চাতক আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে , তা চিউহুয়া পাহাড়ের বৈশিষ্ট্য তাইনা ?
কারণ চিউহুয়া পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই ভালো, পাখির বসবাসও অনেক বেশি ।চাতক হচ্ছে পাখির মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখির অন্যতম । এ পাখি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম । স্থানীয় অধিবাসীরা চাতককে খুবই পছন্দ করে এবং যত্ন করে ।
চিউহুয়া পাহাড়ের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় স্থাপত্য থাকার পাশাপাশি এর দৃশ্যও অতি সুন্দর । পাহাড়ের পথে একটি ফুলের বাগান আছে । লোকজন তাকে ফুলের মঞ্চ বলে ডাকে । অন্যান্য জায়গার আজেলিয়া ফুল খুব খাঁটো, কিন্তু এখানকার আজেলিয়া ফুল বেশ লম্বা । দেখতে গাছের মতো । পাথর দিয়ে তৈরী পথ চলার সময় পাহাড়ের সুন্দর সুন্দর ফুল ও দৃশ্য দেখে এবং নানা ধরনের পাখির গান শুনে মন ভরে ওঠে আনন্দে ।
প্রাচীনকাল থেকে এ পর্যন্ত অনেক পর্যটক চিউহুয়া পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করেছেন এবং এখনও এ পাহাড় সবার পছন্দনীয় । চিত্রকর লি ইয়োং ছবি আঁকার জন্য প্রথমবারের মতো চিউহুয়া পাহাড়ে এসেছেন । তিনি বলেছেন, চিউহুয়া পাহাড়ের বৈশিষ্ট্য খুবই রহস্যময়। বিশেষ করে এখানকার কুয়াশা আমার কাছে স্বর্গে প্রবেশ করার মতো মনে হয় । 1 2
|