v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-09 17:10:16    
আনহুই প্রদেশের চিউহুয়া পাহাড়

cri

    চীনের আনহুই প্রদেশে অবস্থিত চিউহুয়া পাহাড় হল চীনের চারটি বিখ্যাত বৌদ্ধ ধর্মীয় পাহাড়ের অন্যতম । পাহাড়ে অনেক মন্দির রয়েছে এবং পাহাড়ের আকার দেখতে শাপলার মতো হওয়ায় চিউহুয়া পাহাড়াকে 'শাপলা বৌদ্ধ দেশ' বলে ডাকা হয় । পাহাড়ের আয়তন ১২০ বর্গকিলোমিটার। পাহাড়ের দৃশ্য খুবই সুন্দর । চিউহুয়া পাহাড় পর্যটন উন্নয়ন কোম্পানির ব্যবস্থা পরিচালক কুইলিন বলেছেন, প্রাচীনকাল থেকেই চিউহুয়া পাহাড় হল চীনের বিখ্যাত ধর্মীয় পাহাড় এবং চীনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানের অন্যতম ।  চিউহুয়া পাহাড় হচ্ছে চীনের বিখ্যাত বৌদ্ধ ধর্মীয় পাহাড় । এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর পর্যটন স্থান আছে । এখানে পাহাড়ের সংখ্যা ৯৯টি । চিউহুয়া পাহাড় একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পাহাড় । এখানে ৯৪টি মন্দিরও রয়েছে । প্রাচীনকাল থেকেই অনেক পর্যটক ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এখানে বেড়াতে আসেন ।

    মিস্টার কুইলিন বলেন, চমত্কার প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি তার ঐতিহ্যিক বৌদ্ধধমীয় সংস্কৃতির জন্যেও চিউহুয়া পাহাড়ের সুনাম রয়েছে । রূপকথা থেকে জানা যায় যে, চিউহুয়া পাহাড় হল কসিটিগারবা বুদ্ধের বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের কেন্দ্র । কসিটিগারবা বুদ্ধ হলেন চীনা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শ্রদ্ধের চারজন বুদ্ধের অন্যতম । বৌদ্ধ ধর্মীয় বইয়ে বলা হয়েছে, কসিটিগারবা বুদ্ধের মাটির মতো উদারতা রয়েছে ।

    তাহলে কেন চিউহুয়া পাহাড় কসিটিগারবা বুদ্ধের বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের স্থানে পরিণত হয়েছে ? চিউহুয়া পাহাড়ের বৌদ্ধধর্ম ইনস্টিডিউটেরর অতিথি অধ্যাপক ফেই ইয়েচাও আমাদের একটি গল্প বলেছেন । ৭১৯ সালে চিউহুয়া পাহাড়ে একজন সন্ন্যাসী এসেছেন । তিনি ছিলেন কোরিয় উপদ্বীপের সিল্লা দেশের রাজকুমার । তাঁর নাম চিন ছিয়াও জুয়ে । তিনি ছোটবেলা থেকেই বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত । চীনে আসার পর তিনি চীনের বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন এবং অবশেষে চিউহুয়া পাহাড়কে তাঁর বৌদ্ধ ধর্ম শেখার স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন । চিউহুয়া পাহাড়ে তিনি ৭৫ বছর বাস করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়ে ছিল ৯৯ বছর । অধ্যাপক যেই বলেন, মৃত্যুবরণের পর লোকজন দেখেছে যে, দীর্ঘকাল ধরে তার মরবদেহ পচে যায় নি। এটা ছিল খুবই আশ্চর্য্যজনক । পরে চিন ছিয়াও জুয়ে'এর শিষ্যরা তাঁর বেঁচে থাকার সময় বৌদ্ধ ধর্ম শেখার পদ্ধতি ও উপায় এবং তাঁর প্রবন্ধের ওপর গবেষণা করেন । তারা খুঁজে বের করেন যে, তাঁর সব আচরণ বৌদ্ধ ধর্ম বইয়ে লিপিবদ্ধ কসিটিগারবা বুদ্ধের আচরণের মতই ছিল । বৌদ্ধ ধর্মীয় বইয়ে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, কসিটিগারবা বুদ্ধ মানব জাতির বিশ্বে থাকতেন । চিন ছিয়াও জুয়ে'র মৃত্যুবরণের আগে তাঁর কাজ একেবারেই কমিটিগার বার মত ছিল । এ কারণে লোকজন মনে করে তিনি ছিলেন পুনর্জন্মলাভকারী কসিটিগারবা বুদ্ধ ।তখন থেকে চিউহুয়া পাহাড় কসিটিগারবা বুদ্ধের বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের স্থানে পরিণত হয়েছে ।


1 2