চলতি বছরের ৮ আগস্ট হচ্ছে আসিয়ানের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ৪০ বছর ধরে, রাজনীতি, অর্থনীতি ও আ ঞ্চলিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসিয়ান অস্বাভাবিক সাফল্য অর্জন করেছে। ফলে বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে সংস্থাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আঞ্চলিক শক্তিতে পরিনত হয়েছে।
আসিয়ান ছিল ১৯৬১ সালের ৩১ জুলাই মালয়েশি য়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড এই তিনটি দেশের উদ্যোগে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ইউনিয়ন। ১৯৬৭ সালের ৭ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সম্মেলন আয়োজন করে, 'দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত ঘোষণা' অথবা 'ব্যাংকক ঘোষণা' বিবৃতি প্রকাশ করেন। ফলে আসিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০ শতাব্দীর ৭০ দশক হচ্ছে আসিয়ানের উন্নয়ন ও সুসংহত হওয়ার সময়পর্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ের বাইরে থেকে, আসিয়ান দেশগুলো স্বতন্ত্র চেতনা উন্নীত করেছে এবং সামষ্টিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের অনুরোধ করে এই অঞ্চলে পরাশক্তির নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে লড়ার অঙ্গিকার করে। ১৯৭৬ সালে আসিয়ানের প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে 'দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক চুক্তিপত্র' আর 'আসিয়ানের সমন্বিত ঘোষণা' স্বাক্ষরিত হয়। যা আসিয়ানের একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবির্ভাব হবার প্রতীক।
1 2
|