v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-23 17:40:36    
কুইচৌ প্রদেশের বিভিন্ন রীতিনীতি জাদুঘর

cri

    পর্যটকরা লম্বাশিং মিয়াও জাতির বাসভবন, পোশাক , জাতীয় বাদ্যযন্ত্র ও জীবনযাপনের পদ্ধতি পরিদর্শনের পাশাপাশি ধারণকৃত শব্দ ও আলোকচিত্রের মাধ্যমে এসব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে উপভোগ করতে পারেন । থাং'আনের তোং জাতির রীতিনীতি জাদুঘর হচ্ছে কুইচৌ প্রদেশের চারটি রীতিনীতি জাদুঘরের অন্যতম । এ পর্যন্ত থাং'আন তোং জাতির গ্রামের ৭০০ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে । থাং'আন পুরনো বনের কাছে অবস্থিত। এর প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার প্রচুর রয়েছে । ঢাল ভবন এবং বাতাস বৃষ্টি সেতু হচ্ছে স্থানীয় তোং জাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্থাপত্য । এর আকার সুন্দর ও বিশেষ ধরনের । থাং'আন গ্রাম পাহাড়ের কাছে নির্মিত । অধিকাংশ বাসভবন হচ্ছে মাটির ওপর ঝুলানো দালান । গ্রামের পথ কালো পাথর দিয়ে বসানো । তোং জাতির গ্রামের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গাইড ওয়াং জুন বলেছেন, তোং জাতির ঐতিহ্যিক স্থাপত্যের নাম ঢাল ভবন । তা গ্রামের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত । ঢাল ভবন হচ্ছে তোং জাতির বিশেষ স্থাপত্য । প্রাচীনকালে শত্রুদের আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য ঢাল ভবন নির্মাণ করা হয় । বর্তমানে তার ভুমিকা পরিবর্তিত হয়ে লোকজনের বিনোদনের স্থানে পরিণত হয়েছে । বয়স্ক লোকজন এখানে দাবা খেলেন এবং যুবকরা এখানে প্রেমিকার সঙ্গে মিলিত হন বা ছেলে মেয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে গান গান ।

    থাং'আন গ্রাম থেকে চলে আসার সময় তোং জাতির কয়েক শো বছরের পুরানো মাটির সিঁড়ি দেখতে পারেন । বসন্তকালে মাটির সিঁড়িতে পানি থাকার সময় বহু দূর থেকে দেখলে মনে হবে গোটা পাহাড়ের ঢাল যেন একটি বড় আয়নায় পরিণত হয়েছে । সূর্যালোকে তা আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে । গ্রীষ্মকালে সবুজ ধান গোটা পাহাড়কে ছেয়ে দেয় । শরত্কালে গোটা পাহাড় সোনালী ধানের রঙে এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের সৃষ্টি করে । এক কথায় যে কোনো ঋতুতে এখানে আসা হাজার হাজার হেক্টর জমির ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের মাটির সিঁড়ি পর্যটকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে । কুইচৌ প্রদেশের একজন সরকারী কর্মকর্তা ম্যাডাম লোং ছাও ইউয়ুন বলেছেন, এখন পর্যটকরা আমাদের গ্রামে এসে নিজেদের জাতীয় ভাষা বলার পাশাপাশি বিদেশী ভাষাও বলতে পারেন । তাঁরা বিদেশী বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ।

     বন্ধুরা, আপনারা কুইচৌ প্রদেশের রাজধানী কুইইয়াং থেকে গাড়িতে সুওগা রীতিনীতি জাদুঘরে পৌঁছতে প্রায় ৪ ঘন্টা লাগে । যদি আপনারা নিজের উদ্যোগে এখানে এসে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে জেলা শহর থেকে একটি গাড়ি ভাড়া নেয়া বা স্থানীয় পর্যটন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

     রীতিনীতি জাদুঘর প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চল হিসেবে পর্যটকরা সেখানে দীর্ঘদিন থাকতে পারেন না । জাদুঘরের কাছে জেলার হোটেলে থাকতে পারেন ।


1 2