বর্তমানে মাকেয়ে আমে মদের দোকান হচ্ছে একটি শিল্পকলা সমৃদ্ধ মদের দোকান । দোকানের দোয়ালের চার দিকে নানা ধরনের ছবি, আলোকচিত্র এবং হস্তশিল্পজাত পণ্যদ্রব্য রয়েছে । বইয়ের তাকে ইংরেজী ও চীনা ভাষার বই রয়েছে । অতিথীরা বই পড়ার পাশাপাশি তিব্বতের জাতীয় সংগীত ও সুস্বাদু পশ্চাত্য খাবার উপভোগ করতে সক্ষম । চীনা ও বিদেশী পর্যটকরা লাসার বার্খোর রাস্তায় বেড়ানোর সময় অবশ্যই এখানে আসেন ।
বার্খোর রাস্তা হল লাসার সবচেয়ে রীতিনীতিসমৃদ্ধ রাস্তা। অনেক তিব্বতী শিল্পকলার দোকান সেখানে রয়েছে । অধিকাংশ দোকানে ঐতিহ্যিক তিব্বতী তাংকার ছবি এবং হাতে তৈরী তিব্বতী গালিচা বিক্রি করা হয় । তিব্বতের তাংকার ছবি হল রেশম দিয়ে আঁকা এক ধরনের ধর্মীয় ছবি । তা তিব্বতী সংস্কৃতির একটি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছবির আকাঁর পদ্ধতি । বার্খোর রাস্তায় অনেক তাংকার ছবি দোকান রয়েছে । সবচেয়ে বিখ্যাত দোকানের নাম তুষার পাহাড় তাংকার ছবির দোকান ।
তাংকার ছবির দোকানগুলোর ব্যবসা খুবই ভালো । যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সিংগাপুর, জার্মানী এবং নেপাল থেকে আসা পর্যটকরা এখানে এসে তাংকার ছবি কেনেন বা তৈরী করার অডার দেন । সবচেয়ে মজার কথা হল দোকানে আপনি বিনা পয়সায় তাংকার ছবি আঁকতে শিখতে পারেন । আপনারা নিজেদের ডিজাইনের মাধ্যমে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের জন্য একটি সুন্দর তাংকার ছবি আঁকতে পারেন । প্রতি বছর দোকানে চীন ও বিদেশ থেকে আসা অনেক পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । নিউজিল্যান্ডের মেয়ে আন মে হুয়া পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী । তিনি ভালভাবে চীনা ভাষা ও তিব্বতী ভাষা বলতে পারেন । দোকানের শিল্পকলা ক্ষেত্রের পণ্যদ্রব্য দেখার পর তিনি সুন্দর ও চমত্কার তাংকার ছবির শিল্পকে পছন্দ করেন । তিনি বলেছেন, সকল সংস্কৃতি খুবই মজার এবং বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন । যদিও নানা ধরনের সংস্কৃতি দেখতে এক নয় ,তবুও মূল থেকে দেখলে একই মনে হবে ।
প্রতিদিন সকাল ৯টার দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা চার দিক থেকে বার্খোর রাস্তায় এসে জমা হন । দোকানের বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা পণ্যদ্রব্য, সুন্দর গালিচা, বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন টুপি, কাঠের পাত্র এবং নানা ধরনের চুড়ি ও মালা যেন অনেক জনপ্রিয় । বার্খোর রাস্তার রাতের দৃশ্য আরো সুন্দর । রাতে নানা ধরনের রংঙিন বাতির আলোতে পর্যটকরা রাস্তায় হেঁটে হেঁটে দোকানের সংগীত শুনতে এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের সুগন্ধ উপভোগ করতে খুবই পছন্দ করেন এবং অবশ্যই আবার আসতে ইচ্ছে করে । বার্খোর রাস্তা সম্পর্কে মাকেয়া আমে মদের দোকানের মালিক সেরিং ওয়াংছিং বলেছেন, বার্খোর রাস্তায় নানা ধরনের লোক দেখা যায় । আসলে এটি একটি আন্তর্জাতিকায়ন স্থান । বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা এখানে আসার পর সত্যিকারভাবেই তিব্বতী সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য উপভোগ করতে সক্ষম এবং নিজের বাড়িতে ফিরে আসার মত এক ধরনের স্নেহের অনুভূতিও বোধ করেন । 1 2
|