বাওশাং মন্দির
বাওশাং মন্দিরের সংরক্ষিত দেয়ালে খোদাই করা দেবতার মুর্তি ১০০০ বছর পূর্বে চীনের থাং রাজবংশের সময় নির্মিত । আগে আটটি দেবতার মুর্তি ছিলো। পরে অগ্নিকান্ডের দরূন অর্ধেক মুর্তি ধ্বংস হয়েছে। এ মুর্তিগুলোর পটভুমিতে রয়েছে সাগর, উঁচু পাহাড় ও মেঘ। আসল মানুষের মতো দেবতার চেহারা ভিন্ন ভিন্ন। কোন কোন মুর্তি গুহায় প্রার্থনারত, কোন কোন মুর্তি পাহাড়ের পানি ও মেঘের মধ্যে বসে, গোটা ভাস্কর্য একটি ত্রিমাত্রিক চিত্রের মতো।
বাওশাং মন্দিরের ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের কর্মকর্তা লিউ ইয়াং জানিয়েছেন, "এই দেবতা মূর্তিগুলোর সবচেয়ে লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সৃন্দর দৃশ্যের পটভুমিতে দেয়ালে দেবতার মুর্তি খোদাই করা। তারা অতি সুন্দরভাবে মনোরম পাহার ও সাগরের মধ্যে মিশে গেছে। "
লুচি নগরে পর্যটকরা কেবল প্রাচীন মন্দির ও সেতু দেখতে পারেন এবং পুরাকীর্তি ও প্রাচীন গাছ উপভোগ করতে পারেন। লুচির আবহাওয়া ভালো। বছরে গড়পরতা তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এই নগর থেকে সুচৌ নগরের দূরুত্ব হচ্ছে ১৮ কিলোমিটার। শাংহাইয়ের হোংছিয়াও বিমান বন্দর থেকে এর দুরুত্ব ৫৮ কিলোমিটার। বিমান বন্দর থেকে লুচি নগরে যাওয়ার সরাসরি গাড়ি আছে। লুচি নগরের টিকিটের মূল্য ৬০ ইউয়ান রেনমিনপি। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নগরটি পর্যটক দর্শকদের জন্য খোলা থাকে।
খাবার হিসেবে লুচি নগরের মাশরুম, ঝিনুক ও চেসনাট খুবই জনপ্রিয়। সেখানে গেলে তা কিনতে ভুলবেন না কিন্তু। লুচি নগরের নারীদের ঐতিহ্যিক কাপড়চোপড় সোচৌ এর সংখ্যালঘু জাতির বিশেষ কাপড় বলে অভিহিত। এখনো প্রতি দিন লুচি নগরের রাস্তায় রাস্তায় এ ধরনের ঐতিহ্যিক কাপড় পড়া নারীদের দেখা যায়। তা জলময় প্রাচীন নগরের একটি সুন্দর দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। যদি আপনি তা পছন্দ করেন, তাহলে এ জাতীয় পোশাক , নকশা তোলা জুতা বা রুমালসহ কিছু স্মারক পণ্য কিনতে পারেন। 1 2
|