v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-20 20:45:33    
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমানের দেয়া সাক্ষাত্কারের চতুর্থ অংশ

cri

    প্রঃ আপনি অনেক দেশে চাকরি করেছেন। কোন কোন দেশে আপনি ছিলেন?

    উঃ আমি অনেকগুলো দেশেই ছিলাম। ধরেন, আমি শুরু করেছিলাম আমার বিদেশে চাকরি ইউকে থেকে। লন্ডনে ছিলাম প্রথমে তিন চার বছর। তারপরে আমি গেলাম ইরানে সেখানে তিন চার বছর। তারপরে আমি গেলাম সুইডেনের স্টকহোমে। ওখানেও তিন বছরের মত। তারপরে আমি গেলাম এখনকার রাশিয়া তখন ছিল সোভিয়েত্ ইউনিয়নের মস্কোতে। তারপরে মস্কো থেকে আমি গেলাম সিঙ্গাপুরে। সেখানে থাকলাম ৫ বছর। তারপরে আমি গেলাম জার্মানীর বার্লিনে। বার্লিন থেকে আমি অনেক দেশ দেখলাম। আমি চেক রিপাবলিক দেখলাম, ক্রোয়েশিয়া দেখলাম, শ্লোভেনিয়া দেখলাম, অষ্ট্রিয়া দেখলাম। তো এ সব দেশেও আমি খুব ভ্রমণ করতাম। তারপরে আমি চীনে আসলাম। চীনের সাথে আমি আরো দুটো দেশ দেখি, মঙ্গোলিয়া ও উত্তর কোরিয়া। এ দুটো দেশও আমি ভ্রমণ করেছি। আমার চাকরি জীবনে আমি কিন্তু অস্থায়ীভাবে অনেক দেশে ছিলাম। পররাষ্ট্র দফতরে থাকাকালীন আমাকে অনেক দেশ ভ্রমণ করতে হয়েছে বিভিন্ন মিটিং-এ যোগদানের জন্যে।

 প্রঃ এ দেশগুলোর মধ্যে কোন দেশগুলোর কথা প্রায়শই আপনার মনে পরে?

 উঃ এটা খুব ডিপ্লোমেটিক প্রশ্নে করলেন আপনি। যাই হোক এক একটা দেশ একেক রকম। এক একটা দেশের কালচার আলাদা। এক একটা দেশের মানুষের চিন্তাভাবনা আলাদা। আমি যেমন বলি সুইডেন একটা দেশ। এটা ৭০ থেকে ৮০ বছর আগে খুব গরীব দেশ ছিল। আমার ভেতর প্রশ্ন জাগলো যে, এই আশি বছরে তারা বড় লোক হলো কি করে? আপনি জানেন ইতিহাস যদি পড়েন। তো এককালে সুইডেন থেকে হাজার হাজার মানুষ জাহাজে করে আমেরিকা চলে গিয়েছিল। এখন কিন্তু হচ্ছে রিটার্ন মাইগ্রেশন। তারা ফিরে আসছে সুইডেনে।

 এখন সুইডেনের অবস্থা খুবই ভালো। সুইডেন রিচ কান্ট্রি। কিভাবে হলো? কেন হলো? এটা জানার জন্যে আমি অনেক সুইডিশ প্রফেসরদের জিজ্ঞেস করেছি। তারা আমাকে দু'তিনটা গ্রামে যেতে বললো । আমি সেন্ট্রাল সুইডেনের গ্রামে গেলাম। যদিও এখন নামটা মনে নেই। ওখানে গিয়ে অবাক কান্ড। একটা লোক আমাকে বললো এই যে হেয়ার ক্লিপ, সবাই পড়ে। তা আবিষ্কার হয়েছে সুইডেনে। তারপরে সেফটি ম্যাচও আবিস্কার হয়েছে সুইডেনে। আমি বললাম কেন, গান পাউডার তো হয়েছে চীনে। এটা কেন? একটা কাঠির উপরে যে বারুদ রাখতে হবে এবং কাঠিটাই যে পুড়বে এই আবিস্কারটাই সুইডিশরা করেছিলেন। ঠিক তেমনি আরো অনেক আবিস্কার । ওরা জানালো , দেখো আমাদের এখানে অনেক শীত। আমাদের ঘরে থাকতে হয় ছ'মাস। ছ মাস আমরা কি করবো? তখন আমরা ডিসকভারীর চিন্তা ভাবনা করি। এসব ইনভেন্সনের মধ্য দিয়ে সুইডেন অনেক এগিয়ে গেলো। আমি মনে করি, আমার দেশ বাংলাদেশে যারা ইয়ং জেনারেশন আছে , তারাও যদি প্রতিদিনের জীবন থেকে ইনভেনশন করে তাহলে কিন্তু এগুতে পারি। চীন যেমন এখন করছে। চীনে অনেক কিছু ইনভেনশন হচ্ছে। অতীতেও অনেক হয়েছিল। ছাতাও কিন্তু চীনের ইনভেনশন। দেখবেন যে নৌকার পালও ছাতার মতন। এটাযে ফোল্ড করা যায় বাঁশের দ্বারা, এটা কিন্তু চীন থেকেই আমরা শিখেছি। একটা জাতির জন্যে দেশের জন্যে, এই যে ডিসকভারী এটা খুব ইমপর্ট্যান্ট। চীনে দেখলাম সুইডেনে দেখলাম। তো এই রকম আমি একেক দেশে একেক রকম দেখেছি।

 প্রঃ আপনার সঙ্গে যখন কথা বলি, তখন মনে হয় আপনার মাথা সবসময় কাজ করছে। সবসময়ই ভালো ধারণা বেড় হচ্ছে। পুরো বেইজিং ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের জন্য ব্যস্ত। তো ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমস দেখার জন্য ২০০৮ সালে কি আবার চীনে আসার সম্ভাবনা আছে?

 উঃ আমি এখনো জানি না। তবে ২০০৮ এখনো অনেক দূরে। ৫০০ এর কাছাকাছি দিন বাকী আছে। কিন্তু ২০০৮ সালের পেইজিং অলিম্পিক 'উইল বি এ সাকসেসফুল অলিম্পিক্স'। এটা আমি বুঝতে পারছি। বুঝতে পারছি এই জন্য যে আপনাদের প্রস্তুতি দেখে। সরকার, চায়নীজ অলিম্পিক কমিটি ও চায়নীজ পিপল যে এত সজাগ হয়ে গেছে অলিম্পিক সম্পর্কে। এটা অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। যেখানে অলিম্পিক গেমস হবে তার স্টোডিয়ামগুলো ঘুরে দেখেছি এবং আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যে , কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আমিতো মনে করি যে, এটা শেষ হয়ে যাবে "ওয়েল চিফোর টাইম"। ফিজিক্যাল ইনফ্রাষ্ট্রাকচার থেকে বড় জিনিস হলে মেন্টাল ইনফ্রাষ্ট্রাকচার, সাইকোলজিক্যাল ইনফ্রাষ্ট্রাকচার। চায়নীজ পিপলস আর প্রিপেয়ার্ড নাউ টু হোষ্ট দ্যা অলিম্পিক্স। আপনি যদি বেইজিংয়ে টেক্সিতে ওঠেন তারা চেষ্টা করবে ইংরেজীতে কথা বলতে। তারা ইংরেজী না জানলে ক্যাসেট চালিয়ে দেয়, তাতে বলা হয় ওয়েলকাম টু বেইজিং টেক্সি। এই যে প্রিপারেশন এটা খুব বড় প্রিপারেশন। আপনি জানেন যে বেইজিং শহরে বিভিন্ন জায়গায় ইংরেজী ও চায়নীজ ভাষায় সাইন বোর্ড আছে। কিন্তু অনেকগুলোর ইংরেজী ভাষা ঠিকভাবে লেখা নেই, কারণ তা আগের লেখা।

 এখন এই অলিম্পিক কমিটির মাধ্যমে এই লক্ষ লক্ষ সাইন বোর্ড বদলানো হচ্ছে। এটা থেকেও বোঝা যায় যে কতটা প্রস্তুতি চলছে। ‌আমার যদি কপালে থাকে নিশ্চয়ই আমি আসবো দেখতে। যদি নাও আসি ঢাকা থাকি বা যেখানেই থাকি সেখান থেকে আপনাদের প্রিপারেশনস ও গেমসটাকে অন্য চোখে দেখবো। দেখবো প্রিপারেশন, অর্গানাইজেশনসহ আপনারা কিভাবে হ্যাডেল করছেন। ট্যুরিজম কি রকম আসছে? পোষ্ট অলিম্পিক্স কি হচ্ছে? এটা আমি করবো, কারণ আমি এখানে রাষ্ট্রদূত ছিলাম।

1 2