ওয়িল্সন বলেছেন, চীনের বিপল বাজার হল তাঁদেরকে কুয়াংচৌ আন্তর্জাতিক পণ্য মেলায় অংশ নেয়া আকর্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। 'এটি হল একটি বিপল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক মেলা এবং তার আকার অব্যাহত বাড়ছে। আমরা এখানে সারা বিশ্বের সুপ্ত সহযোগি খোঁজতে পারি। আমরা আশা করি, এবারের মেলায় সুপ্ত শক্তিতে ভরপুর সহযোগিদেরকে দেখতে এবং চীনে এক ভারপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী খোঁজতে পারবো। আমরা তার সঙ্গে যৌথ-মালিকালধীণ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা এবং সে নিয়মিতভাবে আমাদের পণ্যদ্রব্য আমদানি করতে পারবে।'
তিনি সংবাদদাতাদের কাছে বলেছেন, মার্কিন শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে মধ্য ও ছোট পর্যায়ের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের বাজারে প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু সবসময় প্রবেশের চাবিকাঠি খোঁজতে পারবে না। বিশ্ববিখ্যাত্ কুয়াংচৌ আন্তর্জাতিক পণ্য মেলায় আমদানিকৃত পণ্যের প্রদর্শনী অঞ্চল মার্কিন শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনের বাজারে প্রবেশের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে। এটি চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের বাড়তি কমানোর ক্ষেত্রে কল্যাণকর হয়।
অনেক ওয়িল্সনের মত বিদেশী রফতানি ব্যবসায়ী এবারের কুয়াংচৌ অন্তর্জাতিক পণ্য মেলায় অংশ নেন। তাঁরা চীনের বাজারে সুযোগ খুঁজেন।
এবারের মেলার মুখপাত্র স্যুবিং আমদানি অঞ্চল বর্ণনা করে বলেছেন যে, 'আমদানি অঞ্চলে শিল্প ও ভোগ দুই প্রকার রয়েছে। এর মধ্যে যন্ত্র ব্যবস্থা, গাড়ী আর সংশ্লিষ্ট আসবাবপত্র, ইলেকট্রোনিক তথ্য আর পরিবারে ব্যবহৃত ইলেকট্রোনিক পণ্য, ধাতব, নির্মিত উপকরণ আর রান্না ঘরে ব্যবহৃত ব্যবস্থা, দৈনিক ভোগা পণ্য, প্রাসধক আর উপহারের পণ্য, রত্নরাজি ও খাদ্য আর কৃষি পণ্য নয়টি প্রদর্শনী কোন্টেনার রয়েছে। ৩৬টি দেশ ও অঞ্চলের ৩১৪টি শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ৬টি স্বল্পোন্নত দেশের ৭টি শিল্প-প্রতিষ্ঠান রয়েছে।'
1 2 3 4
|