সার্কের একাদশ শীর্ষ সম্মেলন ২০০২ সালের জানুয়ারী মাসে নেপালের কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়। ৭টি দেশের শীর্ষ নেতারা রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও সমাজের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্কের সদস্যদেশগুলোর সহযোগিতা দ্রুততর, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় এলাকায় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। সম্মেলনে 'কাঠমুন্ডু ঘোষণা' গৃহীত হয়।
সার্কের দ্বাদশ শীর্ষ সম্মেলন ২০০৪ সালের জানুয়ারী মাসে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জিন্নাহ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে 'ইসলামাবাদ ঘোষণা' গৃহীত হয় এবং 'দক্ষিণ এশিয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল চুক্তি সংক্রান্ত কাঠামো সন্ধি', 'দক্ষিণ এশিয়া সন্ত্রাসদমন কনভেনশনের অতিরিক্ত প্রটোকল' ও 'দক্ষিণ এশীয় সামাজিক সনদ'সহ কতগুলো দলিলপত্র স্বাক্ষরিত হয়। সম্মেলনকালে ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ফলে দু'দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়।
সার্কের ত্রয়োদশ শীর্ষ সম্মেলন ২০০৫ সালের ১২ থেকে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ব্যাপক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত 'ঢাকা ঘোষণা' গৃহীত হয় এবং ডাবল ট্যাক্য এড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে আফগানিস্তানকে নতুন সদস্য করা হয় এবং চীন ও জাপানকে সার্কের পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এর পাশাপাশি সার্কের চতুর্দশ শীর্ষ সম্মেলন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 'ঢাকা ঘোষণা'-য় ৫৩টি বিষয় রয়েছে। তা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা, দারিদ্র বিমোচন করা, অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত, সন্ত্রাসদমন ও রাজনৈতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সমস্যার অবস্থান প্রতিফলিত হয়। অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা মনে করেছেন যে দারিদ্র হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ এবং ঘোষণা করেছেন যে, ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হচ্ছে 'দক্ষিণ এশিয়া দারিদ্র হ্রাসের ১০ বছর'।
1 2
|