রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনসহ 'চীন বর্ষের' বিভিন্ন তত্পরতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, 'এত ব্যাপক তত্পরতা আয়োজনের লক্ষ্য হল দু'দেশের সহযোগিতার মানদন্ড ও পর্যায় উন্নয়ন করা। বিভিন্ন আর্থ-বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক তত্পরতার মাধ্যমে রাশিয়া ও চীনের জনগণের জীবনযাত্রা সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি আমাদের জনগণকে আরো ভালভাবে পারষ্পরিকভাবে সমঝোতার সাহায্য এবং আমাদের দু'দেশের সুষ্ঠু সম্পর্কের উন্নয়ন সুরক্ষা করা হবে।'
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীন-রাশিয়া বাণিজ্যিক কাঠামো সমন্বয়ের কাজ হল একটি দীর্ঘ ও কঠিন দায়িত্ব। বিশেষ করে, অর্থনীতির বাজারায়নের পরিস্থিতিতে শুধু দু'দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট হবে না। চীনের বিজ্ঞান একাডেমির একজন বিশেষজ্ঞ চাং চংহুয়া মনে করেন, যদি আমরা এ সমস্যার নিরসন করতে চাই, তাহলে চীনে সরকার চীনের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাশিয়ার ইলেকট্রোনিক পণ্যদ্রব্য আমদানির উত্সাহ দেয়া ছাড়া রাশিয়ার উচিত নিজের পণ্যদ্রব্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান উন্নয়ন করা। তিনি বলেছেন, 'এখন বাজার ভিত্তিক অর্থনীতির পরিস্থিতিতে সরকার শুধু শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করার উত্সাহ দিতে পারে। কিন্তু জোর করে সহযোগিতা উন্নয়ন করতে পারে না। মূল সমস্যা হল রাশিয়ার উচিত নিজের যন্ত্র উত্পাদনের পর্যায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান উন্নয়ন করা।'
তিনি আরো বলেছেন, চীনের আমদানিবৃত বেশির ভাগ ইলেকট্রোনিক পণ্যদ্রব্য বিদেশী ব্যবসায়ীদের পুঁজিবিনিয়োগের মাধ্যমে পাওয়া যায়। বর্তমানে, চীন ও রাশিয়ার পুঁজিবিনিয়োগের সহযোগিতার পর্যায় উচ্চ ও ব্যাপক নয় এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে না। সেজন্য, দু'দেশ শুধু যে ইলেকট্রোনিক যন্ত্রের ক্ষেত্রের বাণিজ্যিক কাঠামো পুর্ণাংগ তা নয়, বরং দু'দেশের পুঁজিবিনিয়োগ ও বিজ্ঞানের সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।
এখন আসলে চীন ও রাশিয়া সরকার বহু ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক কাঠামো পুর্ণাংগ করছে। আমি অনুষ্ঠানটির শুরুতে বলেছি, চীন ও রাশিয়া সম্প্রতি ২১টি আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এসব চুক্তিতে জ্বালানী সম্পদ, গাড়ী, পরিবারে ব্যবহৃত ইলেকট্রোনিক পণ্য, কৃষি পণ্যদ্রব্য, যন্ত্র ও জাহাজ তৈরীসহ বহু ক্ষেত্রের বাণিজ্য বিষয় রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, চীন-রাশিয়া আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার আয়তন বাড়ছে। 1 2
|