এবারের সফরে চেনি প্রথমে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি ২১ ফেব্রুয়ারী জাপানের সম্রাট আকিহিতো, প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসো তারোর সঙ্গে বৈঠক ও সাক্ষাত্ করবেন। তিনি কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা, ইরানের পরমাণু সমস্যা ও ইরাকের পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জাপানের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। তাছাড়াও, তিনি ইয়োকোসুগায় মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটিও পরিদর্শন করবেন।

    গণমাধ্যমগুলো মনে করে, চেনির এবারের সফরের প্রধান দায়িত্ব হল গত জানুয়ারী মাসে জর্জ বুশের ইরাকে আরো ২০হাজার মার্কিন সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি জাপানকে অবহিত করা এবং জাপানের সঙ্গে সমঝোতা ও সহযোগিতার চেষ্টা করা। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এশীয় মিত্রদেশ হিসেবে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর, জাপান সরকার বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে আসছে। কিন্তু জাপানের কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের জাপান সরকারের ইরাক সম্বন্ধে নীতির ব্যাপারে বিরাট মতভেদ রয়েছে। কোনো কোনো বিরোধীতাকারী মনে করে, ইরাকে নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাহিনী পাঠিয়ে জাপানের শান্তি ও সংবিধানের পরিপন্থী। তারা উদ্বিগ্ন জাপান ও মার্কিন বাহিনীর একীকরণ সম্পর্কের ব্যাপারেও।