১৯৯৩ সালের মে মাসে, ফ্রীডাম পার্টি অন্যান্য পার্টির সংগে মিলে পিপলস ইউনিয়ন গঠন করে। মাদাম কুমারাতুংগা হন এই ইউনিয়নের ভাইস-চেয়ারপার্সন। ১৯৯৪ সালের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত শ্রীলংকার সংসদ নির্বাচনে, পিপলস ইউনিয়ন জয় লাভ করে। মাদাম কুমারাতুংগা প্রধানমন্ত্রী হন। একই বছরের ৯ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে মাদাম কুমারাতুংগা শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং শ্রীলংকার ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হন।১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত হন। ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীও হন। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে তিনি ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড পিপলস ফ্রীডাম আলাইন্সের নেতৃপদ থেকে ইস্তফা দেন।
মাতৃভাষা সিংহালীস ছাড়া কুমারাতুংগা খুব ভাল ইংরেজি ও ফরাসী এবং কিছু রুশ, জার্মান ও হিন্দি ভাষাও জানেন। ১৯৯৯ সালের ৩১শে মে, তামাক ভোগ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্যে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া বিশ্ব ধুমহীনতা পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৪ দিন আগে, তিনি আততায়ীর হাত থেকে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। কিন্তু এই ঘটনায় তাঁর ডান চোখ অন্ধ হয়।
মাদাম কুমারাতুংগা হচ্ছেন একজন ভীষণ শান্তি-প্রিয় আদর্শবাদী।
১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ও ১৯৯৬ সালের এপ্রিল মাসে তিনি চীন সফর করেন। 1 2
|