ছোট মেয়ের আপত্তিতে বুড়ো হুয়াংয়ের খুব দুঃখ হয় । কিন্তু অবশেষে তিনি এক আশ্চর্য সিদ্ধান্ত নেন । প্রিয় নারী এবং নিজের বৃদ্ধকালের সুখশান্তির জন্যে তিনি মাদাম উকে নিয়ে পালিয়ে যাবেন ।
কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তে বুড়িমা উ রাজী নন । আসলে বুড়ো হুয়াংয়ের ছোট মেয়ের আপত্তি বুড়িমা উ কল্পনা করতে পারেন । কারণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দ্বিতীয় বিবাহ সন্তানদের অনুমোদিত হতে হবে ।
অনেক চিন্তা করলেও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি । নানচিংয়ে বুড়ো হুয়াং জিনিসপত্র গোছাচ্ছেন কথাটা ভেবে বুড়িমা উ তাড়াতাড়ি নানচিংয়ে ফোন করেন । হুয়াং ত্যইয়ুর ছোট মেয়ের আপত্তিতে বুড়িমা উ গভীর দুঃখে নিমজ্জ্বিত হন । কারন বুড়ো হুয়াং তাঁর সুখ এবং তাঁর বৃদ্ধকালের সঙ্গী ।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক দিন বুড়িমা উ ফোংচেন নানচিং যাবেন বলেছেন । তাদের পরিচয়কারী বন্ধু সে দিন খুব সকালে বুড়ো হুয়াংকে ফোনে বৈঠকখানার দেয়ালে ঝুলানো তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর ছবি নামিয়ে ফেলতে বলেন । ব্যাপার নিয়ে বুড়ো হুয়াং দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান ।বুড়িমা উ ছবিটা নামিয়ে ফেলতে রাজী নন । বুড়িমা উ ফোংচেনের সমর্থন পেয়ে বুড়ো হুয়াং ত্যইয়ু প্রয়াত স্ত্রীর ছবি দেয়ালেই রেখে দেন । ছবিটা বৈঠকখানার দেয়ালে ঝুলতে থাকে। বুড়িমা উ ফোংচেনের বড় মন ও সমঝোতায় বুড়ো হুয়াংয়ের ছেলেমেয়েরা খুব মুগ্ধ হয় । তারা বুড়িমা উকে গ্রহণ করল ।
২০০১ সালের ২৭ অক্টোবর বুড়িমা উ ফোংচেন সুষ্ঠু ও আনন্দের সঙ্গে বুড়ো হুয়াংয়ের নানচিংয়ের বাড়িতে প্রবেশ করলেন । এ দিন থেকে তিনি বুড়ো হুয়াংয়ের সঙ্গে সুখশান্তিতে পারিবারিক জীবনযাপন শুরু করেন। বুড়ো হুয়াংয়ের তিন ছেলেমেয়ের সঙ্গে বুড়িমা উ খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং তাদের সম্মান ও ভালবাসা লাভ করেছেন । এটাই বুড়িমা উ ফোংচেন ও বুড়ো হুয়াং ত্যইয়ুর বৃদ্ধকালের প্রেমের কাহিনী । কেমন লাগল ? বন্ধুরা , যদি আপনাদের মধ্যে কারো এমন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে বা হবে , আশা করি , আপনারা এ গল্প থেকে উপলব্ধি করবেন যে , সন্তানদের ভালবাসার অনুভূতি বাবামাকে বুঝতে হবে । সন্তানরা বাবামার বৃদ্ধকালের প্রেম ও বিবাহে বেশি হস্তক্ষেপ করবেন না , তাদের বৃদ্ধকালের সুখশান্তির জন্যে সাহায্য করবেন ।
1 2
|