গত তিন বছরে চীনের নিং সিয়া হুই জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে গ্রামাঞ্চলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিনিধিদের পাঠানোর ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিনিধি এবং কৃষকদের স্বার্থ ও আশংকায় সমভাগী হওয়ার ব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে । এ ব্যবস্থার কল্যাণে গ্রামাঞ্চলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিনিধিরা পর্যায়ক্রমে নিং সিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং কৃষির বহুমুখী উত্পাদনের সামর্থ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি প্রাণশক্তিতে পরিণত হয়েছে । আজকের অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কে কিছু বলছি আমি শি চিং উ ।
প্রথমে পিং লোও জেলার ইয়াও ফু নগরের একটি গাভী খামারের কাহিনী বলি । এ খামার গ্রামের ৪০টি পরিবারের দু' শ' গাভী লালন করে থাকে । এ নগরের কৃষক চাং চি চুন আবেগের সংগে বলেছেন , তিনি তার পরিবারের ১৪টি গাভী বিনাপয়সায় এ খামারে পাঠিয়েছেন । এ খামারের গাই দোহা কর্মশালায় বীজাণু বিধ্বংসী ব্যবস্থা, গাই দোহা যন্ত্রপাতি ও দুধ মজুদ রাখার ব্যবস্থা খুবই ভালো। কারখানা কর্তৃক দুধ কেনার দামও কিলো প্রতি ০.১ ইউয়ান বেশি । সুতরাং গত বছর এ খামারে গাভী রেখে তিনি বাড়তি ৬ হাজার ইউয়ান উপার্জন করেছেন ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক দুজন প্রতিনিধি ছেন তুং হুয়া ও ইয়াং চিন চুই এ গাভী খামারের প্রধান শেয়ার ধারক । ছেন তুং হুয়া এ জেলার পশু পালন কেন্দ্রের কর্মী ছিলেন আর ইয়াং চিন চুই সবেমাত্র নিং সিয়া কৃষি ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হয়েছেন । এ গাভী খামারে কাজ করে তারা যেমন নিজেদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মান উন্নত করেছেন , তেমনি নিজেদের সত্যিকার মূল্যও হাসিল করেছেন ।
ছেন তুং হুয়া বলেছেন , অতীতে পশু পালন কেন্দ্রে কাজ করার সময় তার প্রধান কাজ ছিল স্থানীয় গ্রামের পশুগুলোর রোগ নিবারণ করা । নানা কারণে তিনি প্রতিটি পরিবারে পশুর রোগ দেখা ও টিকা দেয়ার সময় পেতেন না । ফলে গাভীর জন্যে টিকা দেয়ার সময় তার হাত সবসময় কাঁপতে থাকতো । এখন আমাদের নিজেদের গাভী খামার আছে । আগে যেসব জ্ঞান বই থেকে শিখেছি , এখন তা অনুশীলনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারছি । এখন গাভী লালন-পালনের ক্ষেত্রে আমি খুবই পারদর্শী । আমি নিজের কৌশল দিয়ে আরো ভালোভাবে কৃষকদের পরিসেবা করতে পারছি ।
এ খামারের অন্য একজন প্রধান শেয়ার ধারক ইয়াং চিন চুই ২০০০ সালে নিং সিয়া কৃষি ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হওয়ার পর চাকরী পাচ্ছিলেন না । সরকারের চালু করা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থার অধীনে তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এ রকম একজন প্রতিনিধি নিযুক্ত হলেন । এখন তিনি ইয়াও ফু গাভী খামারের বৃহত্তম শেয়ার ধারক এবং একজন লক্ষপতিতে পরিণত হয়েছেন । তিনি বলেছেন , যখন আমি ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হয়েছি , তখন চাকরী পাওয়াও মুশ্কিল ছিল । নিজের মূল্য হাসিল করা তো ছিল আরো দূরের কথা ।
1 2 3
|