চিন রেন ছিং বলেছেন , উভয় পক্ষ রাজী হয়েছে যে , কার্যকরভাবে মেধা স্বত্ব সুরক্ষা করা হবে ,আইন ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং পুঁজির প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে । তারা মনে করে যে , এটা উন্মুক্ত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বাজার গড়ে তোলার ওপর সুগভীর তাত্পর্য সৃষ্টি করবে । উভয় পক্ষ রাজী হয়েছে যে , কর্মসংস্থানের আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করা হবে , দেশী ও বৈদেশিক বাণিজ্য ও পুঁজিবিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা হবে এবং জ্বালানী ব্যবহারের নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষা জোরদার করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে । উভয় পক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে , তারা ইতিবাচক ব্যবস্থা নিয়ে ডাবলিও টি ও'র ভূমিকা জোরদার করবে , দোহা রাউন্ড বৈঠকের সাফল্য অর্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাবে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে ।
উপপ্রধান মন্ত্রী উ ই এবারের সংলাপের উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন । তিনি বলেছেন , আমি এবং মন্ত্রী পাউলসন ও দু'দেশের প্রতিনিধি দলের মন্ত্রীরা এক মত হয়েছেন যে , চীন-মার্কিনপ্রথম কৌশলগত সংলাপ অত্যন্ত সফল হয়েছে । এটা দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং দু'দেশের মধ্যেকার গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুকূল হবে ।
উ ই বলেছেন , এবারের সংলাপ দু'পক্ষের উপলব্ধি বাড়িয়েছে এবং আস্থাও ত্বরান্বিত করেছে । উভয়ের মধ্যে কিছুটা মতৈক্য হয়েছে , কিন্তু বেশ কয়েকটি মতভেদও বিদ্যমান । এই সব মতভেদ বোধগম্য । কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একেবারে দুটো ভিন্ন দেশ । যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ এবং চীন বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ । অর্থনৈতিক ভিত্তি ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রে দু'পক্ষের বেশ কিছু অমিল রয়েছে । উভয় পক্ষ পরস্পরকে মর্যাদা প্রদর্শন করা , সমতা ও পারস্পরিক উপকারিতা এবং অমিলকে পাশ কাটিয়ে মিলকে প্রাধান্য দিয়ে চলার মনোবল পোষণ করে যৌথ বিকাশ লাভ করবে বলে চীন আশা করে ।
1 2 3
|