Web bengali.cri.cn   
আর্থনীতিক সংবাদ ---২০১৫/৯/২১
  2015-09-21 18:51:27  cri

১.চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশে চীনের অ-আর্থিক সরাসরি বিনিয়োগ (ওডিআই) ছিল ৪৭,৩৪০ কোটি ইউয়ান সমমূল্যের ৭,৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮.২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে শুধু অগাস্টেই চীন বিদেশে বিনিয়োগ করেছে ১৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বিদেশে চীনের ওডিআই ছিল ১২,৩১২ কোটি মার্কিন ডলার, যা তার আগের বছরের চেয়ে ১৪.২ শতাংশ বেশি।

২. ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে, ২০১৫ সাল থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল খাতে নতুন করে ৫,৫২২টি যাত্রিবাহী বিমান যোগ করতে হবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০ বছর চীনে আকাশপথে যাত্রী সংখ্যা বছরে গড়ে ৭.৪ শতাংশ হারে বাড়বে। এর মূল কারণ প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩.চীনের ইনভেস্টর কর্সোর্টিয়াম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার ৯৪০ মিলিয়ন ডলারে তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম কনটেইনার টার্মিনাল 'কুমপোর্ট টার্মিনাল'-এর ৬৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। টার্মিনালটি তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত।

৪.চীনে জ্বালানি তেলের খুচরা মূল্য বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন (এনডিআরসি)।

এনডিআরসি জানায়, দেশে লিটারপ্রতি গ্যাসোলিন ও ডিজেলের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ০.০৭ ও ০.০৮ ইউয়ান করে।

৫. বাংলাদেশের খনি উন্নয়ন ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড। একই সঙ্গে দেশটি বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশিল্পেও বিনিয়োগে আগ্রহী। সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে এ তথ্য জানান পোল্যান্ডের অর্থ প্রতিমন্ত্রী জিসওয়াভা গাওলিক।

রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হারভেস্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পোল্যান্ডের অর্থ প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, বাংলাদেশের কয়লা উত্তোলন, খনি উন্নয়ন, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন ও শেল গ্যাস খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তার দেশ।

সম্প্রতি পোল্যান্ড সরকার বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই দেশটির সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে নতুন করে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ৩ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ৬০ কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক আছে।

৬. সরকার চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এখানে চীনা কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করার জন্য একটি অনুকূল বাণিজ্য পরিবেশ এবং স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দ্বিতীয় অর্থনৈতিক জোনের উন্নয়নে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে লাগবে ৪২০ কোটি টাকা।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেকের চেয়ারপারসন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

একনেকের সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, একনেক ৫ হাজার ৩৯ কোটি টাকার ব্যয়ে অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠাসহ মোট সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ২৯১৬ কোটি টাকা। বাকি ২১২৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোর মধ্যে পাঁচটি নতুন এবং দুটি সংশোধিত প্রকল্প।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, গত বছরের ৬ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত চীন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি শিল্প জোন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। এরপর চীনের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশেষ ইকোনমিক ও শিল্প জোন প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

৭. ২০১৯-২০ অর্থবছরের মধ্যে করদাতা ৪০ লাখে উন্নীত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় আয়কর দিবস ও সর্বোচ্চ এবং দীর্ঘমেয়াদী করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১ শতাংশ মানুষও কর দেন না। ১৬ কোটির মধ্যে ১৬ লাখ হলেও বলা যেত যে ১ শতাংশ মানুষ কর দেন।

তিনি বলেন, জনসংখ্যার ২ শতাংশকে করদাতা করতে চাওয়া উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। করদাতার সংখ্যা বর্তমানের ১১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪০ লাখে নিয়ে যাওয়াটা খুবই কষ্টকর হবে বলে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, তার পরও এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায় বর্তমান সরকার।

৮. বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২০১৫ সালে ২৪.৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যাও কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৫ শতাংশে। সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চিত্র ফুটে উঠেছে। ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র্যের হার কমানোসহ বেশ কিছু সূচকে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি কম ওজনের শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার লিঙ্গসমতা, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস, এইচআইভি সংক্রমণ রোধসহ যক্ষা রোগ নিরাময়ে সাফল্য এসেছে।

৯. ভারতে রফতানি কমেছে। অগাস্টে রফতানি কমেছে ২০.৬৬ শতাংশ। টানা নয় মাস ধরে কমছে দেশটির রফতানি আয়। এর আগে রফতানি শেষ বার বেড়েছিল ২০১৪ সালের নভেম্বরে।

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, অগাস্টে রফতানি কমে দাঁড়ায় ২১২৬ কোটি ডলারে। আমদানিও অবশ্য অগাস্টে ৯.৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৩৩৭৪ কোটি ডলারে। ফলে অগাস্টেই বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ১২৪৭ কোটি ডলার। আগের বছরের এই সময়ে ঘাটতি ছিল ১০৬৬ কোটি ডলার।

১০. ভারতে ব্যবসায়-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাট রাজ্য সবচেয়ে এগিয়ে আছে। ৯৮ দফা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাজ্যটির স্কোর বা নম্বর হচ্ছে ৭১.১৪ শতাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশ ৭০.১২ শতাংশ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে ঝাড়খন্ড (৬৩.০৯%), ছত্তিশগড় (৬২.৪৫%) ও মধ্যপ্রদেশ (৬২%)। তালিকার শীর্ষ দশে নেই পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্য ৪৬.৯০ শতাংশ স্কোর নিয়ে আছে একাদশ স্থানে।

'রাজ্য পর্যায়ে ব্যবসায়-বাণিজ্য সংস্কার কর্মসূচির মূল্যায়ন'শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত মঙ্গলবার এ ধরনের প্রথম এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

ব্যবসা-বাণিজ্যের সংস্কারে ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোর গত ২০১৪ সালের নভেম্বরে নেওয়া ৯৮ দফার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

তালিকার একেবারে তলানিতে রয়েছে সেভেন সিস্টারখ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য (ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল)। এসব রাজ্যের মধ্যে আসাম ২২ নম্বরে। সবশেষে আছে অরুণাচল প্রদেশ।

ভারতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওন্নো রুহল বলেন, এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন ভারতীয় রাজ্যগুলোকে একটি পথনকশা দেখাবে, যাতে রাজ্যগুলো ব্যবসায়ের পরিবেশ তৈরি ও অধিক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে পারে।

১১. জার্মানি পাকিস্তানকে ৪০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। এ অর্থ ব্যয় হবে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় কাবুল নদীর ওপর নির্মিত ওয়াসক্‌ পানিবিদ্যুতকেন্দ্রের পুনর্বাসনে।

এ ছাড়া, ইউরোপের দেশটি আরও দু'টি খাতে ২০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। সম্প্রতি ইসলামাবাদে দু'দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। (আলিম)

মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040