১৯৪২ সালে জার্মান সেনাবাহিনীর দখলকৃত কিয়েভে ইউক্রেনের শীর্ষ ফুটবল দল, অর্থাত এফসি ডিনামো কিয়েভের অধিকাংশ সদস্য একটি পাউরুটির দোকানে কাজ করতেন। তাঁরা এবং দোকানের অন্যান্য কর্মীরা একসাথে একটি ফুটবল দল গঠন করেন। সেই বছরের বসন্তকালে জার্মান সেনাবাহিনীর উদ্যোগে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ইউক্রেনের পাউরুটির দোকানের কর্মীদের নিয়ে গঠিত দল যথাক্রমে এক একটি দলকে পরাজিত করে অবশেষে জার্মান বিমান বাহিনীর ফ্লাকেল্ফের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলার প্রথমার্ধে ইউক্রেনের দলটি ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়।
এসময় জার্মান নাতসি বাহিনী ইউক্রেন দলের সদস্যদেরকে হুঁশিয়ারি করে বলে যে, এ প্রতিযোগিতায় জার্মান দলকে বিজয়ী হতে হবে। যদি জার্মান দল বিজয়ী না হয় তাহলে প্রতিযোগিতার পর তাদেরকে বন্দী শিবিরে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু ইউক্রেন দল অবশেষে বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতার এক সপ্তাহ পর নাতসি বাহিনী সেই পাউরুটির দোকানে এসে ফুটবল দলের সকল সদস্যকে গ্রেফতার করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘন ঘন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে এই দুর্ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া লোকেরা সেই ইতিহাস সম্পর্কে কখনই মুখ খোলেননি। দীর্ঘ সময় পর অবশেষে ১৯৭১ সালে কিয়েভ তার দেশের সেই সব সাহসী ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য স্মৃতিসৌধ স্থাপন করে।