

যুদ্ধবন্দি শিবিরে মিত্র বাহিনীর সেনাদের নেতারা হাচিকে একটি কাজ দেন। তা হলো যুদ্ধবন্দি শিবির থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর প্যারিসে ভূগর্ভস্থ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিযোগিতার সেই দিনে ফুটবল দলের সকল সদস্যদেরকে পালানোর জন্য তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা।
হাচি অসংখ্য বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে প্যারিসে পৌঁছান। ভূগর্ভস্থ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের পর হাচি একটি খবর পান যে, প্যারিসে যে স্টেডিয়ামে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে, সেই স্টেডিয়ামের নীচের একটি নর্দমাযুক্ত ড্রেনের মাধ্যমে সিন নদীতে পৌঁছানো যায়। ফুটবল দলের সদস্যদেরকে এই খবর জানানোর জন্য সদ্যই সাফল্যের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া হাচিকে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেফতার করা হয় এবং আবার বন্দী শিবিরে ফিরিয়ে আনা হয়।
অবশেষে প্রতিযোগিতার দিন শুরু হয়। রেফারির পক্ষপাতিত্বের কারণে খেলার প্রথমার্ধে জার্মানি চার গোলে এগিয়ে থাকে। জার্মান দলের এক খেলোয়াড় যুদ্ধবন্দি দলের এক খেলোয়াড়কে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে। এতে সে আর খেলতে পারেনা।
অন্য দিকে সঙ্গীর আহত হওয়ার কারণে যুদ্ধবন্দি দলের খেলোয়াড়দের খেলায় জয় করার শক্তি আরো চাঙ্গা হয়ে উঠে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই একটি গোল পরিশোধ করতে সক্ষম হয় যুদ্ধবন্দি দল।




