

চীনের কৃষিমন্ত্রী হান ছাং ফু বলেন, "চীন বিশ্বের দশ ভাগের এক ভাগ আবাদি জমি দিয়ে বিশ্বের এক চতুর্থাংশ খাদ্যশস্য উত্পাদন করে এবং বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের অন্ন সংস্থান করে। এটা সম্ভব হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে এবং চীনা কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে। আমাদের আস্থা তিনটি ভিত্তির ওপর স্থাপিত। প্রথম হচ্ছে 'নীতি'। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্য উত্পাদন ও নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং এ ব্যাপারে সরকারের নিজস্ব নীতিগত অবস্থান আছে। দ্বিতীয় হচ্ছে 'বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি'। বর্তমানে কৃষিখাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদানের হার ৫৫ শতাংশ এবং এ হার আরো বাড়বে। তৃতীয় হচ্ছে 'অবকাঠামো'। এখন আমাদের জলসেচের আওতায় থাকা জমির পরিমাণ ৫১ শতাংশ। বর্তমানে ৫৯ শতাংশ কৃষিকাজ করা হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে।"
একটানা দশ বছর ধরে খাদ্যশস্যের উত্পাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চীনে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণও প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। চীনের কৃষি ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সিয়াং সোং জো বলেন, "আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে গেলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের কৃষি সংকুচিত হবে; বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানি অব্যাহত থাকলে আমাদের কিছু পণ্যের উত্পাদন হ্রাস পাবে; এ খাতে আমাদের শিল্পের উন্নতি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থেমে যাবে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত ও অস্থিতিশীল। যখন খাদ্যশস্যের দাম উঠানামা করবে, তখন সামাজিক সমস্যাও সৃষ্টি হবে।"
কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত চীনের কেন্দ্রীয় গ্রাম বিষয়ক সম্মেলনে চীন খাদ্যশস্যের নতুন নিরাপত্তাকৌশল উত্থাপন করেছে। আর এ কৌশলগত নীতি হচ্ছে: চীনের খাদ্যশস্যের নিরাপত্তার জন্য নিজের ওপর নির্ভর করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী হান ছাং ফু বলেন, "চীনের ভেতরেই যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য উত্পাদন নিশ্চিত করতে হবে এবং আমদানি করতে হবে যতটুকু না-করলেই নয় ঠিক ততটুকু। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, চীনাদের চালের বাটি চীনাদের হাতেই রাখতে হবে। আর আমাদের চালের বাটির মধ্যে সবচে বেশি থাকবে চীনে উত্পাদিত খাদ্যদ্রব্য।" (ইয়ু/আলিম)

| ||||



