এ চলচ্চিত্রটি পি ফেই ইউয়ের নামের উপন্যাস অনুযায়ী রিমেক করা হয়। এ উপন্যাসটি চীনের মাও তুন সাহিত্য পুরস্কার পায়। ২০১২ সালে চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হয়। বার্লিনে যাওয়ার আগে চলচ্টিত্রটির সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত হয়। পরিচালক লো ইয়ে শুটিং করার জন্য চীনের নানচিং শহরকে নেন। নানচিংকে বেছে নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে লো ইয়ে বলেন,
'আসলে উপন্যাসের সব ঘটনা নানচিং শহরকে কেন্দ্র করে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত দিক থেকে বলা যায়, আমি নানচিং শহরকে খুব পছন্দ করি। কেননা আগে আমি এই শহরে চলচ্চিত্র শুটিং করেছি এবং এই শহর আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এ দুটি কারণে এ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য আমি নানচিং শহরকে বেছে নেই।'
'ব্লাইন্ড ম্যাসেজ' চলচ্চিত্রে এক দল অন্ধ শিক্ষকের ভাবানুভূতি তুলে ধরা হয়। এ চলচ্চিত্রের আশ্চার্যজনক বিষয় হলো ছবির প্রধান চরিত্রে ছ'জন সত্যিকার অন্ধ অভিনয় করেন, ফলে সত্যিকারভাবেই অন্ধ শিক্ষকদের জীবনের নানাদিক ফুটে উঠে। এ প্রসঙ্গে পরিচালক লো ইয়ে বলেন, উপন্যাসের যে বিষয়টি তাকে খুব মুগ্ধ করে তাহলো অন্ধদের চারপাশের পরিবেশ এবং লেখকের দৃষ্টিভঙ্গী ।
উপন্যাসের শুরু অন্ধ শিক্ষকদের সত্যিকার জীবনের পরিবেশ থেকে। তাই সর্বপ্রথমে চলচ্চিত্র পরিচলক লো ইয়ে অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বেছে নিতে চেয়েছিলেন। চাং লেই চলচ্চিত্রের একজন অপেশাদার অভিনেত্রী। এ চলচ্চিত্রে তিনি একজন অন্ধ শিক্ষকের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে পেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে অভিনয় করা প্রসঙ্গে চাং লেই বলেন,
'একজন সাধারণ লোক হিসেবে, বিশেষ করে আমার মতো একজন অন্ধের জন্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করা একটি খুবই বিরল সুযোগ। তাই আমি এই সুযোগকে খুব বেশি মূল্যায়ন করি। মনে হয়, চলচ্চিত্রে অভিনয় করা প্রতিদিনের আমাদের সাধারণ ও স্বাভাবিক জীবন কাটানোর মতো। খুব আরাম লেগেছে।'